ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসবিচ রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠির মাধ্যমে তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন। তারা দুইজনই জেলা বিএনপির ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। 

আরো পড়ুন:

‘হাসিনার পতনে বিএনপি ক্ষমতা পেয়ে গেছে, ভাবা ভুল’

সাঁথিয়ায় বিএনপি নেতা শামসুর রহমান বহিষ্কার

বিএনপি নেতারা জানান, আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। গতকাল রবিবার হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি বড় অংশ সমাবেশ করে সম্মেলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উজান-ভাটি রেস্টুরেন্টে জাতীয় নিবার্হী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যাহ বুলু সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব ওরফে শ্যামল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো.

মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা ও জহিরুল হকের সমন্বয়ে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হাফিজুর রহমান মোল্লা ও জহিরুল হকের পক্ষ থেকে কিছু দাবি উত্থাপিত হয়। দাবিগুলো আলোচনার ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত হয়, সেটি বাস্তবায়নের পূর্বে আপনারা (হাফিজুর ও জহিরুল) সম্মেলন বিরোধ সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। যা সম্পূর্ণরূপে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার  মধ্যে লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া জহিরুল হক খোকন বলেন, “আমরা সংগঠন ও সম্মেলন বিরোধী কোনো সমাবেশ করিনি। গতকাল রবিবার আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সমাবেশ করেছি। ব্যানারে সেটিই লেখা ছিল। আমরা কোনো শর্ত ভঙ্গ করিনি। বরং আমাদেরকে কারণ দর্শানো উদ্দেশ্যপ্রনোণিত বলে মনে হচ্ছে।”

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ