বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী চারঘাট উপজেলার সংগঠক ফা-আরদ্বীন রহমানের বাড়ির দেয়ালে ‘সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে হত্যার হুমকি বলে মনে করছেন ফা-আরদ্বীন। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। 

ফা-আরদ্বীনের বাড়ি রাজশাহীর সরদহ ইউনিয়নের পশ্চিম বালিয়াডাঙা গ্রামে। তার বাবার নাম বজলুর রহমান। ফা-আরদ্বীন সিটি পলিটেকনিক অ্যান্ড টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

ফা-আরদ্বীনের দাবি, তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে ‘স্বৈরাচার’ তকমা দিয়ে ফেসবুকে সোচ্চার ছিলেন। তাই জেলে থাকা অবস্থায় ২১ জুলাই রাতে কারাগারের টর্চার সেলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এখনও তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। এ অবস্থায় বাড়ির দেয়ালে মৃত্যুর হুমকি পাওয়ায় তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। 

ফা-আরদ্বীন রহমান বলেন, ‘‘রবিবার রাত ১০টার দিকে বাবার সঙ্গে বাজার থেকে বাসায় ফিরি। এ সময় দেয়ালে লেখাটি দেখতে পাই। বিকালেও লেখাটি ছিল না। অধিকাংশ সময় বাবা-মা বাড়িতে একা থাকেন। তাদের নিরাপত্তার কথা হবে আতঙ্কিত হচ্ছি। থানায় অভিযোগ করেছি।’’

চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ চলছে।’’

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই চারঘাট উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। সেই মিছিল থেকে ফা-আরদ্বীনসহ আট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের জেলাহাজতে পাঠানো হয়। আওয়ামী সরকারের পতনের পরদিন তিনি মুক্তি পান।

কেয়া//

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ