সমন্বয়কের বাড়ির দেয়ালে লেখা ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ’
Published: 13th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী চারঘাট উপজেলার সংগঠক ফা-আরদ্বীন রহমানের বাড়ির দেয়ালে ‘সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে হত্যার হুমকি বলে মনে করছেন ফা-আরদ্বীন। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন।
ফা-আরদ্বীনের বাড়ি রাজশাহীর সরদহ ইউনিয়নের পশ্চিম বালিয়াডাঙা গ্রামে। তার বাবার নাম বজলুর রহমান। ফা-আরদ্বীন সিটি পলিটেকনিক অ্যান্ড টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ফা-আরদ্বীনের দাবি, তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে ‘স্বৈরাচার’ তকমা দিয়ে ফেসবুকে সোচ্চার ছিলেন। তাই জেলে থাকা অবস্থায় ২১ জুলাই রাতে কারাগারের টর্চার সেলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এখনও তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। এ অবস্থায় বাড়ির দেয়ালে মৃত্যুর হুমকি পাওয়ায় তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
ফা-আরদ্বীন রহমান বলেন, ‘‘রবিবার রাত ১০টার দিকে বাবার সঙ্গে বাজার থেকে বাসায় ফিরি। এ সময় দেয়ালে লেখাটি দেখতে পাই। বিকালেও লেখাটি ছিল না। অধিকাংশ সময় বাবা-মা বাড়িতে একা থাকেন। তাদের নিরাপত্তার কথা হবে আতঙ্কিত হচ্ছি। থানায় অভিযোগ করেছি।’’
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ চলছে।’’
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই চারঘাট উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। সেই মিছিল থেকে ফা-আরদ্বীনসহ আট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের জেলাহাজতে পাঠানো হয়। আওয়ামী সরকারের পতনের পরদিন তিনি মুক্তি পান।
কেয়া//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’