ভাড়া বাড়ি থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে ৫ জন আটক
Published: 13th, January 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনার সোনারপুর থেকে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে সোনারপুরের বৈকণ্ঠপুর নামক এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশ দাবি করেছে, আটক ৫ জন বাংলাদেশের গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগেই তারা অবৈধভাবে ভারতের অনুপ্রবেশ করেন। বৈকণ্ঠপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন।
তারা কেন এসেছেন, উদ্দেশ্য কী— সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দেশটির পুলিশ ।
ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আটক পাঁচজন কখনোই স্থানীয়দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেননি। ফলে তাদের ব্যাপারে কিছুই জানেন না তারা।
তবে, স্থানীয় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে তারা কাজ করত বলে জানায় প্রতিবেশীরা। এদিকে, আটকরা যে বাসায় ভাড়া ছিলেন, সেই বাসার মালিকও বর্তমানে পলাতক।
ঢাকা/সুচরিতা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।