পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনার সোনারপুর থেকে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে সোনারপুরের বৈকণ্ঠপুর নামক এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। 

দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশ দাবি করেছে, আটক ৫ জন বাংলাদেশের গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগেই তারা অবৈধভাবে ভারতের অনুপ্রবেশ করেন। বৈকণ্ঠপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন। 

তারা কেন এসেছেন, উদ্দেশ্য কী— সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দেশটির পুলিশ ।

ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আটক পাঁচজন কখনোই স্থানীয়দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেননি। ফলে তাদের ব্যাপারে কিছুই জানেন না তারা। 

তবে, স্থানীয় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে তারা কাজ করত বলে জানায় প্রতিবেশীরা। এদিকে, আটকরা যে বাসায় ভাড়া ছিলেন, সেই বাসার মালিকও বর্তমানে পলাতক।

ঢাকা/সুচরিতা/এনএইচ 

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে ৭১ চেকপোস্টে গ্রেপ্তার ১৬০

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ চেকপোস্টে ১৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, “গত শনিবার (১ মার্চ) রাত ১২টা থেকে রবিবার (২ মার্চ) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এর মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে-মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি।”

তিনি বলেন, “মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।”

জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে দুই পালায় সিটিটিসির ১৪টি, তিন পালায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ১২টি ও ডিএমপির সঙ্গে রাতে র‌্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ডিএমপির সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন কর্তৃক ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।

তালেবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে ৬ জন ডাকাত, ১৭ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, ৩ জন চাঁদাবাজ, ১৮ জন চোর, ২০ জন চিহ্নিত মাদককারবারি, ১৯ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী।

অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ৩টি চাকু, ২টি সুইচ গিয়ার, একটি দা, ৩টি লোহার রড, ৬টি মোবাইল ফোন ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার ৩০ পিস ইয়াবা ও এক কেজি ৫৮৪ গ্রাম গাঁজা। এসব ঘটনায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ