গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জামায়াতের
Published: 13th, January 2025 GMT
শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে, প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গ্যাস সংকট নিরসনের উপায় খুঁজতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ বছরের শাসনামলে সাতবার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করেছিল। তখন শিল্পকারখানায় রেশনিং চলত। এখনও গ্যাসের সংকট চলছে। তা দূরে সকল সম্ভাবনাময় জায়গায় কূপ খনন করা প্রয়োজন। আমদানির গতি বৃদ্ধি করে সংকট দূর করা প্রয়োজন। মূল্যবৃদ্ধিতে সংকট সমাধান নয়, মারাত্মক হবে।
হত্যায় দায়ী নব্য বিএনপি
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন বিরোধে জামায়াত কর্মী খোকন আলী মোল্লাকে হত্যার জন্য হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন গোলাম পরওয়ার।
তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দোসর জাসদ (ইনু) থেকে আগত নব্য বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় খোকন মোল্লা নিহত এবং আরও ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনা দুঃখজনক এবং জনগণের ঐক্যের জন্য হুমকি। এতে প্রমাণিত হয়, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা সুপরিকল্পিতভাবে জাতিকে বিভক্ত করে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে চাইছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে অবিলম্বে স্বৈরাচারের দোসর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা প্রয়োজন।
কোরানে আগুনে সাম্প্রদায়িক হানাহানির ষড়যন্ত্র
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের দেয়ালে বিজেপির লোগো লাগিয়ে রাতের আঁধারে পবিত্র কোরান পোড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও হানাহানি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ইসলাম বিদ্বেষী মহল যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, এ ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইনকিলাব মঞ্চের পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাও মিছিল আটকালো হাইকোর্ট মোড়ে
জুলাই আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারসহ পাঁচ দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে ইনকিলাব মঞ্চের মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। পরে দাবির একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আলটিমেটাম বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
শুক্রবার দুপর সাড়ে তিনটায় শাহবাগ থানার সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে যেতেই মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ লাঠি হাতে অবস্থান নেন। পরে সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হয়। এতে রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়বে। এখানে যারা পুলিশ সদস্য আছেন সবাই ঢাকায় নতুন, জুলাইয়ে আমাদেরও ব্যাপক ভূমিকা ছিল। আপনাদের দাবিদাওয়া আমার কাছে দেন। আমি কালকে আইজিপির কাছে পৌঁছে দেব।’
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি পাঁচদফা দাবি তুলে ধরে জানান, তারা (পুলিশ) কথা দিয়েছেন আমাদের পাঁচ দফা আইজিপির কাছে পৌঁছে দেবেন। আমরা নিশ্চিত হতে চাই আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে পাঁচ দফা দাবির ব্যাপারে আপডেট জানানো হবে। এমনটি না হলে কর্মসূচি ঘোষণা না দিয়ে আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বারান্দায় অবস্থান নেব। পরে ইনকিলাব মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ফাতিমা তাসনিম ঝুমা রমনা জোনের ডিসির হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে- জুলাই গণহত্যায় সরাসরি জড়িত সব পুলিশকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে; জুলাই আন্দোলনে নিহত এবং এ আন্দোলনের কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, মিথ্যা প্রতিবেদন ও হয়রানিতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; ছাত্রলীগের নেতাকর্মী যারা পুলিশ বাহিনীতে আছে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে হবে; জুলাই গণহত্যার দায়ে তিরস্কৃত ও বদলি হওয়া পুলিশদের তালিকা জনমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে জুলাই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা বন্ধ করতে হবে। এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।