চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আত্মগোপনে থাকা ডাকাত দলের সর্দার নিজাম উদ্দিন (৪৩) ওরফে নিজাম ডাকাতসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

রোববার রাতে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সোমবার র‍্যাব-৭ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ডাকাত সর্দার নিজাম উদ্দিন সীতাকুণ্ড উপজেলার জোড় আমতলের শফিউল আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি ও হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া রোববার রাতে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের পৃথক বিশেষ অভিযানে বাড়বকুণ্ড ও জোড় আমতল এলাকা থেকে সাগর, সামীর ও ইকবাল নামে তিন ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। তাদের তিনজনই বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের বাসিন্দা।

তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জাফর আহমেদ।

র‍্যাব-৭ এর উপ-পরিচালক মো.

সাদমান সাকিব বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি নিজাম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। রোববার গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পৌরসভার মধ্যম এয়াকুবনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি ব্যবস্থা শেষে তাকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র‍্যাব-৭ এর হাতে আটক ১ জন এবং পুলিশের অভিযানে তিনজনসহ মোট ৪ ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার নিজাম ডাকাত দলের সর্দার।

সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অনশনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, রাস্তা অবরোধ

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দীর্ঘদিনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ২০ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তারা। একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ও মহাখালীর আমতলী মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেছেন।

তিতুমীরের ৫ শিক্ষার্থী বুধবার (২৯জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় অনশন শুরু করেন। ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশনে বসেন তারা। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাতটি দাবি তাদের।

অনশনরত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বলেছেন, “বুধবার বিকেল থেকে আমরা অনশন করছি। কিন্তু, এখনো আমাদের সাথে সরকারের কোনো প্রতিনিধি যোগাযোগ করেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। অনশনের চেয়ে বড়  কোনো কর্মসূচি হতে পারে না।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিচারিতাকে আমরা ধিক্কার জানাই। সাত কলেজসহ কোনো প্রকার কাঠামোতে আমরা যাব না। আমাদের দাবি— স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়।”

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাত দাবির মধ্যে আছে—রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে আবাসিক খরচ বহন করা, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই আইন ও সাংবাদিকতা বিভাগ খোলা, একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার মান বাড়াতে আসন সংখ্যা সীমিত করা এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার নির্মাণে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

অনশনে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন—তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের এফ রায়হান, বেল্লাল হাসান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ও রানা আহমেদ।

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে গত সোমবার মধ্যরাতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তা না হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

তবে, বুধবার বিকালে অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন যে, তারা অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন।

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে এর আগে নানা কর্মসূচি পালনের পর গত ৭ জানুয়ারি কলেজের প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত ১৮ নভেম্বর মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। পরদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘ক্লোজডাউন তিতুমীর' কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর ৩ ডিসেম্বর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঢাকা/উম্মে হাফছা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৮ ঘণ্টায়ও সড়ক ছাড়েনি তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, দুর্ভোগ
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অনশনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, রাস্তা অবরোধ