যশোরে মামলায় হাজিরা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ঝটিকা মিছিল
Published: 13th, January 2025 GMT
যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার দুপুরে যশোরের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর থেকে তাঁরা ঝটিকা মিছিল বের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর রহমানের (বাবু) নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের দড়াটানায় গিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতা–কর্মীদের। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম যশোরে এমন মিছিল হলো। তবে মিছিলের কথা জানেন না বলে জানান যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়ার আদালতে আজ ২৫ নেতা–কর্মীর হাজিরার দিন ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ বলেন, মামলার নিয়মিত হাজিরার অংশ হিসেবে আসামিরা আদালতে হাজিরা দেন। বিচারক তাঁদের হাজিরা মঞ্জুর করেন।
আতিকুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় আমাদের ২৮ দিন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। মিছিলের পর থেকে অজানা অনেক নম্বর থেকে মুঠোফোনে কল আসছে। কেন আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দিয়ে কেন মিছিল করলাম, এটা তারা জানতে চাইছে। নানা ধরনের চাপ আসছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে যশোর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় কার্যালয়ের বিভিন্ন মালামাল লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ৬৩ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন জেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সহসম্পাদক এম এ গফুর। ওই মামলায় আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’