খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থেকে অপ্রুচাই মারমা (৩০) নামে কথিত মগ লিবারেশন পার্টির এক সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ হয়।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গরমছড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল।

আটক অপ্রুচাই মারমা উপজেলা সদরের ময়ূরখীল এলাকার মংপ্রু মারমার ছেলে।  

আরো পড়ুন:

আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ যুবকের মৃত্যু

পুলিশ জানায়, আকটকৃত ব্যক্তি কিছুদিন ধরে উপজেলার গরমছড়ি এলাকায় কথিত মগ লিবারেশন পার্টির কালেক্টর পরিচয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালাচ্ছিলেন।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে অপ্রুচাই মারমাকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন জব্দ করা হয়।

ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি কথিত মগ লিবারেশন পার্টির সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। অস্ত্র আইনে মামলা করার পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।” 

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মৃৎশিল্পীদের

বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মৃৎশিল্পীদের। দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি করা মাটির খেলনা, পুতুল ও ব্যাংকসহ নানান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে ও রংতুলির আঁচড় শেষে বৈশাখী মেলায় তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিল্পীরা।

জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামে পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়- বাড়ির সামনে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে মাটি দিয়ে তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, ব্যাংক, কলস, দইয়ের কাপ ও সরাসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। এসব জিনিসপত্র তৈরি করার পর তা রোদে শুকানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ রংতুলির আঁচড় দিচ্ছেন। 

পালপাড়ার ছোট-বড় ছেলেমেয়ে সবাই উৎসবের মতো করে এ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশুরাও তাদের বাবা-মায়েদের এই কাজে সহযোগীতা করছে।

শিল্পীরা বলছেন, পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এই সময়টাতেই তাদের ভালো আয় রোজগার হয়।

স্থানীয়রা জানান, বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের ছড়াছড়ির কারণে এক সময়ে গ্রামগঞ্জের জনপ্রিয় মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন তাদের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এ কারণে মৃৎশিল্পীদের আগের সুদিন নেই। পালপাড়ায় একসময় এই পেশার সঙ্গে ৫০টিরও অধিক পরিবার জড়িত ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। উপকরণের দাম বাড়ায় এ কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

পালপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষার্থী অনন্যা রানী পাল জানান, এটা আমাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মা-বাবাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন। কারণ, এই মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করেই তার পড়ালেখাসহ সংসারের খরচ চলে।

রনজিত পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, “এ পেশায় এখন টিকে থাকা মুশকিল। সরকার সহযোগিতা না করলেই অচিরেই এই পেশা থেকে নতুন প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নেবে। ইতোমধ্যে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছে। আমরা যারা এই পেশায় রয়েছি, খুব কষ্টে আছি। আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

হবিগঞ্জ বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “মৃৎশিল্প গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র আধুনিকায়নে এবং মৃৎশিল্পীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ঋণ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।”

ঢাকা/মামুন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ