রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শকেরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে সচিবালয়ের সামনে তাঁরা এ অনশন শুরু করেন। এর আগে সকাল থেকে তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইরা জানিয়েছেন, ৫ ও ৬ জানুয়ারি তাঁরা একই দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের আশ্বাসে ৬ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন। ওই সময় দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তাঁরা। দাবি মেনে না নেওয়ায় আজ তাঁরা আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআই রবিউল ইসলাম সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল চারটা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি। তাই তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনার জন্য তিনজন প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠায়। তিনজন প্রতিনিধি এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছেন। তাঁরা ফিরে এলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

অব্যাহতি পাওয়া আরেক শিক্ষানবিশ এসআই মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আমাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সমস্যার সমাধান করে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সচিবালয়ে আজ জানতে এসেছি, আমাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সম্প্রতি সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের শিক্ষানবিশ ৩২১ এসআইকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ৫ ও ৬ জানুয়ারি সচিবালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আরও পড়ুনচাকরি ফেরতের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষানবিশ এসআইদের অবস্থান৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-অনশন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসব কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: কুয়েটে অনশনরত শিক্ষার্থীদের তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রেখে অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। তবে উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন।

আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা কুয়েট ক্যাম্পাসে যান। তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন। তবে ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সেখানে তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশন পালন করছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নেতাকর্মীরা।

অনশনের একপর্যায়ে প্রচণ্ড রোদে অসুস্থ হয়ে পড়েন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন সাদাত। হিট স্ট্রোক করলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, “কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়:  কুয়েট উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।   আজ বিকেল ৩টার মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে কেন্দ্র ঘোষিত বাংলাদেশ ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

দুপুর পৌনে ১২টা থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাবি শাখার ব্যানারে তারা এ অনশন শুরু করেন। 


অনশনরত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, “অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে কিন্তু ইন্টেরিমের ঘুম ভাঙছে না। লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসা ইন্টেরিম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গাদ্দারি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যদি বিকাল ৩টার মধ্যে কুয়েটের দলকানা ভিসিকে না সরালে আমরা সারা দেশে ব্লকেড কর্মসূচি দেব এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, “ছাত্রজনতার রক্তের ওপর যে ইন্টেরিম সরকার বসে আছে, সেই সরকার শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে কর্ণপাত করছে না।”

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: কুয়েটের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধান সড়ক অবরোধ করেছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর চৌগাছা মহাসড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় ।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, "ভিসি মাছুদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন", "দালাল ভিসির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন", "কুয়েট তোমার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই", "এক, দুই, তিন,চার ভিসি মাছুদ তুই গদি ছাড়", "দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্ত", "স্বৈরাচারের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও", "এই মুহূর্তে খবর এলো কুয়েট ভিসি পালিয়ে গেল", "স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন", "আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম- সংগ্রাম " ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পরে আমরা কুয়েটের উপাচার্য মাছুদের মতো একজন স্বৈরাচার চাই না। কুয়েট প্রশাসন আন্দোলনকারী ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে। যারা এক সময় জুলাই আন্দোলনের সৈনিক ছিল, আজ তারাই অধিকার আদায়ে অনশন করতে বাধ্য হয়েছে। সেখানে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, তারা না খেয়ে দিন পার করছে। কিন্তু তাদের পক্ষে উপাচার্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এরকম উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। অবিলম্বে এরকম উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে। যদি আপনি আমাদের ভাইদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা মার্চ ফর কুয়েট কর্মসূচি গ্রহণ করব।”  কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ না করা হলে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: কুয়েট শিক্ষর্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনশনে বসেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পতাকা স্ট্যান্ডসংলগ্ন আমবাগান এলাকায় শিক্ষার্থীরা অনশনে বসেন।

শেকৃবি শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েট শিক্ষার্থীদের একদফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।

শেকৃবির শিক্ষার্থী মো. মফিজ শেখ বলেন, "ভিসি অপসারণের জন্য যে একদফা দাবি করেছে কুয়েট শিক্ষার্থীরা, তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমরা আজকে আমাদের সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছি। আমাদের দাবি, কুয়েটের ভিসি আজকের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হবে।”

গত ২১ এপ্রিল পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ৩২ জন আমরণ অনশন শুরু করেন। বিকেল ৩টায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্বদিকে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে অনশন শুরু করেন।  অনশনরত ৩২ শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। রাতে খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে লাল কার্ড দেখান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা খুলনা থেকে ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। এতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।

এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

এর মধ্যে কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নগরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা করেন।

আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিলে, আন্দোলন আবারও দানা বাঁধতে থাকে।

গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে আগামী ২ মে থেকে সব আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া ও ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

এর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবির ঘোষণা দেন। ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা কুয়েটের ছেলেদের ছয়টি হলের তালা ভেঙে হলগুলোতে অবস্থান নেন।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুয়েট ভিসির অব্যাহতির ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল
  • কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে খুবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা, ক্লাস বর্জন
  • কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-অনশন
  • শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পরও অনশনে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা
  • অনশনের ৩য় দিনে দুর্বল হয়ে পড়েছেন কুয়েটের ২৭ ছাত্র
  • রাজু ভাস্কর্যে মধ্যরাতে আমরণ অনশনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ১৫ জন
  • কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড, রাজুতে আমরণ অনশন
  • অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের ফোন শিক্ষা উপদেষ্টার, ভাঙা হলো ছাত্রী হলের তালা
  • আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন কুয়েটের ৩২ ছাত্র
  • মূল ক্যাম্পাসে চারুকলা আনার দাবিতে অনশনে চবির ৯ শিক্ষার্থী