কুমিল্লায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে ২ নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
Published: 13th, January 2025 GMT
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় রাস্তা থেকে দুই নারীকে তুলে নিয়ে যুবদল নেতার নেতৃত্বে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই নারী।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সেবাখোলায় স মিলে ভিতরে তাদের ধর্ষণ করা হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে দুই নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের যুবদল নেতা মো.
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণ: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী দুই নারী বলেন, ‘‘আমরা দুই বোন। ১০-১২ জন মিলে স মিলে আমাদের ধর্ষণ করেন। সবার মুখ দেখলে চিনতে পারব। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তারা ধর্ষণ করেন। তখন স মিলের মালিক সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা আমাদের রাতেও রাখতে চান। আমরা হাতে-পায়ে ধরে তাদের থেকে ছাড়া পাইছি।’’
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই নারীর ধর্ষণের ঘটনায় কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। স মিলের মালিক খোকন মিয়া ঘটনার পর পর পলাতক। প্রধান অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহসিন এলাকা ছাড়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর মহসিনকে গ্রামে দেখা যাচ্ছে না।
মুঠোফোন অভিযুক্ত স মিলের মালিক খোকন মিয়া বলেন, ‘‘জোর করে আমার স মিলে দুই মাইয়া নিয়ে ঢোকে যুবদল নেতা মহসিন। এ সময় তার সঙ্গে আরো ১০-১২ জন ছিল। আমি কিছু করিনি। তারাই সব করেছে।’’ প্রধান অভিযুক্ত মহসিনকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত মহসিনের বাবা রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগেও এলাকায় বিভিন্ন অপপ্রচার হয়। আমার ছেলে নির্দোষ।’’
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি শুনিনি। তবে কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার এ সব অপকর্ম করে, আমরা তার দায়ভার নিবো না। অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হোক।’’
নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, ‘‘দুই নারী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমরা তাদের কাছে ঘটনা জানতে চাচ্ছি। বিস্তারিত পরে বলব।’’
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন সরকার বলেন, ওসিকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল
ভারতের জম্মু কাশ্মিরে ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর পর দুই দেশের উত্তাপ যখন তুঙ্গে তখন সিন্ধু নদের পানি বন্ধের হুমকি দিয়েছে দিল্লি। এরই মধ্যে ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাতিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন, পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও তারা প্রবাহিত হতে দেবেন না। এবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বললেন, সিন্ধু নদে হয় পানি বইবে নাহয় ভারতীয়দের রক্ত।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুর জেলায় পিপিপির এক সমাবেশে বিলাওয়াল এ কথা বলেন বলে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে।
সিন্ধু নদ ডাকাতির চেষ্টা করছে ভারত এমন অভিযোগ তুলে বিলওয়াল ভুট্টো বলেন, সিন্ধু সভ্যতার প্রকৃত উত্তরসূরিরা পাকিস্তানে বসবাস করে। সিন্ধু সভ্যতার উত্তরসূরি হিসেবে পাকিস্তান কখনোই এই নদের ওপর দাবি ছাড়বে না।
পেহেলগামে হামলার পর ভারত সিন্ধু নদের পানি চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নরেদ্র মোদি সিন্ধুর উত্তরাধিকারের জন্য চিৎকার করলেও, এই সভ্যতার প্রকৃত উত্তরসূরিরা এখনও পাকিস্তানের মাটিতে আছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান বা আন্তর্জাতিক মহল মোদির যুদ্ধ কেন্দ্রিক মনোভাব বা সিন্ধু নদের পানির সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব সমর্থন করবে না।
ভারত নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পাকিস্তানের ওপর দায় চাপাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির এই চেয়ারম্যান বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই, ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে ভারত অবৈধভাবে সেই চুক্তি বাতিল করছে।