আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
Published: 13th, January 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় গৃহবধূ হালিমা বেগমের (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম।
মারা যাওয়া হালিমা বেগম মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভাষানচর দক্ষিণ কান্দি এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে। তিনি গত ৭ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
আরো পড়ুন:
ঢাকা মেডিকেল মর্গে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ৬ বেওয়ারিশ লাশের সন্ধান
গাজীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
এলাকাবাসী জানান, ফুলতলা এলাকার একটি আলু ক্ষেত থেকে আজ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ক্ষেতের মাঠি খুঁড়ে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন হালিমা বেগম। শহরের একটি হাসপাতালে আত্মীয়কে দেখতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অপহরণ মামলা করে পরিবার।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, “লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’