মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় গৃহবধূ হালিমা বেগমের (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম।  

মারা যাওয়া হালিমা বেগম মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভাষানচর দক্ষিণ কান্দি এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে। তিনি গত ৭ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

আরো পড়ুন:

ঢাকা মেডিকেল মর্গে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ৬ বেওয়ারিশ লাশের সন্ধান

গাজীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

এলাকাবাসী জানান, ফুলতলা এলাকার একটি আলু ক্ষেত থেকে আজ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ক্ষেতের মাঠি খুঁড়ে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন হালিমা বেগম। শহরের একটি হাসপাতালে আত্মীয়কে দেখতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অপহরণ মামলা করে পরিবার। 

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, “লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।

এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ