তরুণীকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা, মা-ভাই কারাগারে
Published: 13th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আনিকা আক্তার (২৫) নামে দুই সন্তানের জননীকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যায় তাঁর মা ও ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকার বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আনিকা স্থানীয় সোনা মিয়া হাজীর বাড়ির নাজিম উদ্দিনের মেয়ে। তাঁর স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী মো.
আনিকার মামা নাছির উদ্দিন বলেন, বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকতেন আনিকা। তাঁর কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
প্রতিনিয়ত ওই পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত বলে জানান ইউপি সদস্য জহুরুল আলম। তিনি ও প্রতিবেশীরা জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকেই আনিকার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। এ কারণে তাদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে রবিনসহ আরেকজন প্রতিবেশী ঘরে ঢুকে দেখতে পান, আনিকার পুরো শরীর রক্তাক্ত; গলা কাটা ছাড়াও শরীরের নানা স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি তারা ভূজপুর থানায় জানান। পরে রাতে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘরে আনিকার মা রোখসানা আক্তার (৪৫) ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি।
হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মেয়েটিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মেয়ে ও তাঁর মায়ের সামান্য মানসিক সমস্যা আছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
ভূজপুর থানার ওসি মো. মাহবুবুল হক বলেন, নিহত আনিকা ও তাঁর মা রোখসানা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। এ দু’জনের মধ্যে সবসময় ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। রোববার রাতেও ঝগড়া হচ্ছিল। এরই একপর্যায়ে আনিকাকে একাধিক ছুরিকাঘাত করেন মা। পরে মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় আনিকার স্বামী মো. মুরাদ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে আনিকার মা রোখসানা ও ছোট ভাই রাকিবুল হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও তাঁর স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান শুভ্র বাদী হয়ে সোমবার দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
রকিবুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় আসামি শুধু নারায়ণ চন্দ। এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মাহমুদুল হাসান শুভ্রর দায়ের করা মামলায় নারায়ণ চন্দ এবং তাঁর স্ত্রী রাজিবপুর মৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ঊষা রানী চন্দকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ২১১ টাকার সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।