দিল্লিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে পাল্টা তলব
Published: 13th, January 2025 GMT
সীমান্তের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র দপ্তরে ডাকার পরদিনই দিল্লিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছে ভারত।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার নূরুল ইসলামকে দুপুরের দিকে দিল্লির সাউথ ব্লকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাকে বের হতে দেখা যায়। এর আগে, রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশ।
ভারত বলছে, গেল বছরের জুন মাসে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চলে বিএসএফ কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু মালদহের কালিয়াচক, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও কোচবিহারের দহগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর সময় বিজিবির বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ সরকারের দাবি, এর ফলে ওই অঞ্চলে ‘শান্তিভঙ্গ’ হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও ভঙ্গ হচ্ছে। কিন্তু বিএসএফ ও ভারত সরকারের পাল্টা দাবি, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছিল দুই দেশের চুক্তি মোতাবেক। ভারত ও বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ সীমান্ত অঞ্চলের প্রায় ৫৩৮ কিলোমিটার এলাকায় কোনো কাঁটাতার নেই। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ।
এর আগে, ঢাকার তলবে রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান প্রণয় ভার্মা। সেখানে পররাষ্ট্রসচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘‘নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে বেড়া নির্মাণের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সমঝোতা রয়েছে। আমাদের উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বিএসএফ ও বিজিবি এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছে। আশা করছি, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে এবং সীমান্তে অপরাধ মোকাবিলায় উভয়পক্ষের সহযোগিতামূলক পদ্ধতি থাকবে।’’
ঢাকা/সুচরিতা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে হওয়া সব ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। নয়াদিল্লিতে আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা, বর্ডার লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া বা কোনো নির্মাণকাজ নিয়ম মেনে করা, ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।