যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদের ভিত্তি স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। 

আজ সোমবার পাকিস্তান ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফপিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ গঠনের জন্য সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এফপিসিসিআইর সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ এবং এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো.

হাফিজুর রহমান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।

যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদান, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল এবং উভয় দেশের বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অন্যান্য উদ্যোগ পরিচালনা করবে এবং পারস্পরিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা উদঘাটনে সহায়ক হবে বলে জানানো হয়। 

হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এই উদ্যোগকে উভয় পক্ষের ব্যবসা সহজতর করার, সহযোগিতা উৎসাহিত করার এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার একটি অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেন।

ঢাকা/হাসান//

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ