কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বুড়াপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী খোকন মোল্লা (৩২) মারা গেছেন। 

উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া গ্রামে রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে হামলায় খোকন মোল্লা আহত হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল হতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর হামলায় জামায়াতের ৩৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। 

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

মৌলভীবাজারে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম ও সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়াদ্দার সাংবাদিকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অতি সত্বর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

স্থানীয় বুড়াপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসির জোর করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সরিয়ে দিয়ে নিজে সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর নাসিম রেজা মুকুলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এর প্রেক্ষিতে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষের লোকজনকে নিযে ওই প্রতিষ্ঠানে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করে। জামায়াত কর্মীরা বৈঠকের জন্য স্কুল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে নাসির তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অনেকে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত খোকন মোল্লা কুষ্টিয়ায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম বলেন, “বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য জামায়াতের নেতারা প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। বিএনপির নেতারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন।’’ 

সংঘর্ষের পর মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাওয়াকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। পরবর্তীতে যে কোনো সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ