যশোরে বিএনপির অফিস পোড়ানোর মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার দুপুরে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল আদালত চত্বর থেকে তারা ঝটিকা মিছিল বের করেন। জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের দড়াটানায় গিয়ে শেষ হয়। এতে ১৫-২০ জন অংশ নেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নামে বিভিন্ন স্লোগানও দিতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের। 

সরকারের পতনের পর এই প্রথম যশোরে এমন মিছিল হলো। তবে মিছিলের কথা জানেন না বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।

জানা গেছে, জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়ার আদালতে এদিন ২৫ নেতা-কর্মীর হাজিরা দেন।  

জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু জানান, জেলা বিএনপি অফিস পোড়ানোর যে মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে; সেটা মিথ্যা বানোয়াট। সোমবার ওই মামলায় ২৫ জন হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করি।  

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট যশোর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় অফিসের বিভিন্ন মালামাল লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ৬৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জেলা বিএনপির সাবেক আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট এমএ গফুর।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ