চাপ কমলে বাজারও স্থিতিশীল হয়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা
Published: 13th, January 2025 GMT
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুদামে চাল সংরক্ষণের পাশাপাশি খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। প্রয়োজনের এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। চাপ কমলে বাজারও স্থিতিশীল হয়ে আসবে। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। আজ সোমবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে চলতি আমন সংগ্রহ অভিযানবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বরিশাল বিভাগের চলতি আমন মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন খাদ্য উপদেষ্টা। সভায় বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খাদ্য উপদেষ্টা।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তাকে মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় বিষয় বিবেচনা করছে সরকার। আর এ লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, খাবারের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার পাইলট কার্যক্রমে উৎপাদন বাড়ানো, কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে খাদ্যশস্য কেনা, আমদানিতে কর ও শুল্ক মওকুফ, খোলাবাজারে কম দামে খাদ্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন পর্যালোচনার পরে দেখা গেছে, বরিশাল অঞ্চলে আমনের আবাদ দেরিতে হয়। আমন সংগ্রহের জন্য সময়সীমা যেটা নির্ধারণ করা আছে, সেই সময়সীমার মধ্যে সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এই বিভাগে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন আশাব্যঞ্জক।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দেশে টিসিবি ও খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হতো। কিন্তু এখন খাদ্য বিভাগের ওএমএস কার্যক্রম ফসলি মৌসুমের কারণে কিছুদিনের জন্য মফস্বলে স্থগিত রাখা হয়েছিল। এটা আবার চালু করে দেওয়া হয়েছে। প্রতি কার্যদিবসে প্রতি উপজেলায় দুই মেট্রিক টন করে চাল ওএমএসে দেওয়া হচ্ছে। দরকার হলে এটা আরও বাড়ানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষ তহবিলের আকার ও সময় বাড়ানোর সুপারিশ ডিবিএর
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিলের আকার এবং সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা এবং বিনিয়োগের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকেও দেওয়া হয়েছে।
ডিবিএর সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
অর্ধবার্ষিকে সাত কোম্পানির অধিকাংশের মুনাফা বেড়েছে
পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে ডিওএস সার্কুলার নং-১ এর মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দেওয়ার নির্দেশনা জারি করে। এই বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। এই তহবিলের মেয়াদ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে শেষ হতে চলেছে।
এই বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এর আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের শেষ থেকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে। এর ফলে ইক্যুইটি বাজার মূলধন (প্রায় ৪০ শতাংশ, বা ২ হাজার ৩০০ বিলিয়ন টাকা) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (যেমন: ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড) এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী স্টক ব্রোকার এবং অন্য অংশীদারসহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছে।
আরো বলা হয়, এই তহবিলের আওতায় অনেক স্বনামধন্য তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তাদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের তহবিল বন্ধ করলে পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে এবং বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ অবস্থায় বাজার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে এর আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার জন্য আমরা গভর্নর মহোদয়ের নিকট সুপারিশ করেছি। আশা করি, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে তিনি আমাদের সুপারিশ বিবেচনা করবেন।
ঢাকা/এনটি/রফিক