‘রাত্রিরে টালা (কুয়াশা) পরে, শীত লাগে। কম্বলে আরাম হবিনি।’ নতুন কম্বল হাতে পেয়ে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী আমোদ আলী শেখ।

বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর নিয়ে আমোদ আলী লাঠিতে ভর দিয়ে এসেছিলেন কম্বল নিতে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর, দহপাড়া, মুলগ্রাম ও খর্দ ভালুকা এলাকায় ১২০ অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।

প্রথম আলো কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সদস্যরা শীতবস্ত্র বিতরণে সহযোগিতা করেন। এর আগে বন্ধুসভার সদস্যরা এলাকায় খোঁজ করে অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করেন। কৃষ্ণপুর গ্রামের পল্লিচিকিৎসক তায়জাল আলীর বাড়ির আঙিনায় কম্বল তুলে দেওয়া হয়।

৭৭ বছর বয়সী আনোয়ারা বেগমের স্বামী মারা গেছেন। তিনিও এসেছিলেন কম্বল নিতে। তিনি বলেন, ‘পতম (প্রথম) আলো পিরাই ১২ বছর আগি একবার আইছিল এহেনে (এখানে) কম্বল দিতি (দিতে)। সিবার একখান দিছিল, আজ আবার দিলে, আল্লাহর কাছে কাছে দোয়া করি।’

কম্বল বিতরণে সহায়তা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টিকটক করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় টিকটক ভিডিও তৈরি করতে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাকিব আহমদ নামে এক তরুণ মারা গেছেন। বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর এলাকায় একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

সাকিব দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার ইউনিয়নের কুড়িগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ধরাধরপুর এলাকায় ছাদেক মিয়ার কলোনিতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি। একটি দোকানে কাজ করতেন সাকিব। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সাকিব ও তার তিন বন্ধু মিলে টিকটক ভিডিও করতে একটি বাড়ির দু’তলার ছাদে উঠেন। ভিডিও করার সময় পা ফসকে নিচে পড়ে যান। ওই বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক মো. মারফত আলী সমকালকে জানিয়েছেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে রাখা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ