আফগান স্পিনার মুজির উর রহমান কিছুটা আলোর বাইরে চলে গেছেন। কিন্তু তার জায়গা পূরণে রহস্য স্পিনার হিসেবে আর্বিভাব হয়েছে আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের। ১৮ বছরের এই ডানহাতি স্পিনারকে নিয়ে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। সঙ্গে ফিটনেস ফিরে পাওয়া টপ অর্ডার ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান ফিরেছেন আফগান দলে। 

তিন ফরম্যাটে আফগানদের নিয়মিত ও নির্ভারযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু ইনজুরিতে পড়ে দলের বাইরে চলে যান তিনি। সারেতে তার সার্জারি করানো হয়েছে। ওই ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএলে খুলনা টাইগার্সে খেলছেন ইব্রাহিম। তার ফিটনেস নিয়ে এসিবির নির্বাচকরা সন্তুষ্ট হওয়ায় তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নিয়েছে। 

আফগানদের বাকি নামগুলো অনুমিত। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী আছেন দলে। রহমত শাহ ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ জায়গা পেয়েছেন। তরুণ ব্যাটার সাদেকুল্লাহ আতাল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আছেন। নেওয়া হয়েছে পেস অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও গুলবাদিন নাঈবকে। স্পিন আক্রমণে তরুণ লেগি নূর আলীও আছেন। পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেবেন ফজল হক ও ফরিদ মালিক। এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে আফগানিস্তান। 

আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল: হাসমতউল্লাহ শাহেদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইকরাম আলী খিল, ইব্রাহিম জাদরান, সাদেকুল্লাহ আতাল, নূর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাঈব, রশিদ খান, আল্লাহ গজনফর, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, ফজল হক ফারুকি, নাভিদ জাদরান, ফরিদ আহমেদ মালিক।   

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শ্যামনগরে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৮টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

সাতক্ষীরা শ্যামনগরে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া ও রামদাসহ ৩৮টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগরের নকিপুর গ্রামের শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রহমত আলী বাড়ির সামনে বিল্লাল গাজীর পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ৩৪টি হাসুয়া ও ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) একই এলাকার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাবের মিস্ত্রির দখলে থাকা পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৪টি হাসুয়া ও রামদা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিল্লাল গাজীর স্ত্রী সুফিয়া সকালে পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে কাজ করার সময় বস্তার ভিতরে থাকা দেশীয় অস্ত্রগুলো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তার ভিতর থেকে ৩৪টি হাসুয়া এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করে। দীর্ঘদিন ধরে পানির মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার কারনে এসব অস্ত্রে মরিচা পড়ে গেছে।

নকিপুর গ্রামের সুজা মাহমুদ জানান, অস্ত্রগুলো বিভিন্ন সময়ে ভূমিহীন নেতা ও বাস্তুহারালীগ সভাপতি মোকছেদ, তার জামাতা স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা সাবের মিস্ত্রি ও ছেলে রহমত আলীর নেতৃত্বে ভূমিদস্যু বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতেন। পাঁচ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর থেকে সাবের ও তার শ্যালক রহমত পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “খবর পেয়ে বস্তার মধ্য থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় হাসুয়া ও রামদাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। পুকুরে কে বা কারা এই রাম দা ও হাসুয়া গুলো লুকিয়ে রেখেছিল সে তথ্য উদঘাটনে পুলিশের অনুসন্ধান চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্যামনগরে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৮টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার