এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা: দুই জন রিমান্ডে
Published: 13th, January 2025 GMT
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখমের হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, আসিফুল হক আসিফ ওরফে ঝন্টু (৩২) ও মো. কাউসার মৃধা (২৪)।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো.
শুনানি শেষে আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জগন্নাথ সাহা রোড থেকে কাউসার মৃধাকে এবং একই দিন দুপুর একটার দিকে হাজারীবাগ গার্লস স্কুলের সামনে একটি মেসে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আসিফুল হক আসিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, আসামিরা ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময় মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে দলবদ্ধ হয়ে এসে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করত। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে হয়রানি করত। গত ১০ জানুয়ারি রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আসামিরা এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হকের ওপর হামলা করে। হামলায় তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন।
এ ঘটনায় এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহেদুল হাসান দীপু ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা/মামুন//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কীভাবে ক্রিমিনাল অফেন্সকে জাস্টিফাই করেন’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে নারীর ওপর আক্রমণের ঘটনা জাস্টিফাই (যৌক্তিকতা দেওয়া) করার অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ দাবি করেছে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’।
আজ সোমবার রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় আড়ংয়ের পেছনে লালমাটিয়া এলাকায় অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। গত শনিবার লালমাটিয়া বি ব্লক এলাকায় ‘মব’ তৈরি করে দুই নারীর ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে একই স্থানে আজ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ‘মবের’ উস্কানিদাতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার নারীরা যা করেছেন তা অপরাধ হলে সর্বোচ্চ সিভিল অফেন্স হয়। কিন্তু তাদেরকে শারীরিক নির্যাতন করার ঘটনা একটি ক্রিমিনাল অফেন্স (ফৌজদারি অপরাধ)। একজন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কীভাবে একটা ক্রিমিনাল অফেন্সকে জাস্টিফাই করেন?’
শনিবার সন্ধ্যায় দুই তরুণী আক্রান্ত হয়েছিলেন ধূমপান করা নিয়ে। ধূমপান করায় তাঁদের ওপর চড়াও হওয়া এবং এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার ফেসবুকে অনেকে প্রতিবাদ জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমি যতটুকু জেনেছি তাঁরা (দুই তরুণী) নাকি সিগারেট খাচ্ছিল, কিছু লোক সেখান দিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। তাঁরা (লোকেরা) বাধা দেওয়ায়, তাঁদের ওপর চা ছুড়ে মেরেছিল।’ তিনি বলেন, ‘পাবলিক প্লেসে ধূমপান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অপরাধ। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, কেউ যেন উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান না করে।’
এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অধীনে নারীরা নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেন আজকের প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়া নারীরা। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করেন তাঁরা।
সমাবেশের আগে আড়ংয়ের পেছনের সড়ক থেকে একটি মিছিল লালমাটিয়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘মবের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালাও এক সাথে’, ‘অবিলম্বে জাহাঙ্গীরকে, পদত্যাগ করতে হবে’, ‘বাধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নারীরা।
অনেকের হাতে ‘স্লাটশেমিং বন্ধ করতে হবে’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, নিপীড়কের রাজনীতি’, ‘আমার দেশ, আমার রাস্তা, আমার অধিকার’, ‘নারীর বেলায় আইন দেখায়, পুরুষের বেলায় আইন কোথায়?’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।