জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়ল চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা
Published: 13th, January 2025 GMT
পাওনা আদায় ও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাল-আবদুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার চাকরিচ্যুত কয়েক’শ শ্রমিক। এতে মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার অংশে যানজট দেখা দেয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও বিভিন্ন গাড়ির চালকরা। পরে জলকামান ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছাত্র ভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শারমীন গ্রুপের চাকুরিচ্যুত শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, সম্প্রতি শারমীন গ্রুপের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৩ ধারায় কিছু শ্রমিককে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে তদন্ত করে মালিকপক্ষ যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমান পেয়েছে তাদের চাকরিচ্যুত করে। চাকরিচ্যুত করা এমন শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ৪৩০ জন।
আরো পড়ুন:
গজারিয়ায় নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে আহত ১৪
মঙ্গলবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ‘পরিবহন ধর্মঘট’
আজ সকালে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। তবে, তারা পুলিশের অনুরোধ না শুনে অবরোধ চালিয়ে যান। বিকেলে পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছাত্র ভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ জানায়, সকাল ১০টার দিকে চাকরিচ্যুত শারমীন গ্রুপের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে আন্দোলনকারীদের নানাভাবে বুঝিয়েও সড়ক থেকে সরাতে না পেরে জলকামান নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম বলেন, “সকাল থেকে বিভিন্ন দাবিতে বাইপাল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল চারকিচ্যুত শ্রমিকরা। আমরা তাদের অনুরোধ করি, আপনাদের বিষয়ে বিজিএমইতে আলোচনা চলছে। আপনারা রাস্তা থেকে সরে যান। তবে তারা শোনেননি। বিকেল ৩টার দিকে আমরা তাদের জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেই।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।