জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে পদযাত্রা শুরু করেন তাঁরা। অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা হেঁটে যাত্রা করেন। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

এর আগে তিন দফা দাবিতে গণ–অনশন করে আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেন। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন অনুষদের ভবনে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দেন।

এ ছাড়া আজ সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে আজ রাতে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁরা।

অনশনকারীরা জানান, মন্ত্রণালয় তাদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়নি। তাঁরা চিঠি সংশোধনের দাবি জানান এবং দ্রুত সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ নতুন চিঠি না পেলে রাতে সচিবালয়ে অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অনশনরত শিক্ষার্থী মো.

ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আল্টিমেটাম (বেঁধে দেওয়া সময়) অনুযায়ী নবায়ন করা চিঠি না আসায় আমরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করছি। সচিবালয়ের ফুটপাতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে পদযাত্রা করে সচিবালয় অভিমুখে যান। ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক অবরোধ

সরকারি তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে আমরণ অনশন শুরু করে কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা। 

ঢাকার বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, তিতুমীর কলেজের সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অবরোধ করছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি জানান।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ এর সাত দফা দাবিগুলো হলো- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন ও ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বিগত ২৮ বছর ধরে আন্দোলন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের সরকারের পটপরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীরা আবারও নতুন করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করেন তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুমার নামাজের পর তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 
  • তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের অনশন চলছে
  • অনশনে শিক্ষার্থীরা, তিতুমীরের কর্মকর্তারা
  • শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে চট্টগ্রামে অনশনে বৈষম্যবিরোধীরা
  • অনশন: তিতুমীরের ৩ শিক্ষার্থী হাসপাতালে 
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অনশনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, রাস্তা অবরোধ
  • তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক অবরোধ
  • আমরণ অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  • ৭ দফা দাবিতে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
  • ৭ দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের