টানা তিন জয়ে উড়ছে মিঠুনের চট্টগ্রাম
Published: 13th, January 2025 GMT
ঢাকায় হার দিয়ে শুরু করেছিল চট্টগ্রাম কিংস। বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বে যাওয়ার আগে টানা তিন ম্যাচে জিতেছে ওই চট্টগ্রাম। সোমবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩০ রানে হারিয়েছে তারা। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে আছে মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম।
বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ তোলে চট্টগ্রাম কিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা পাওয়া পারভেজ ইমন (৭) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। তবে পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান ও ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৮ রান যোগ করেন।
উসমান ফিরে যান ৩৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে আটটি চার ও একটি ছক্কার শট আসে। ক্লার্ক খেলেন ৩৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস। তিনি তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা তোলেন। তাদের দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে মিঠুন ও হায়দার আলী রানটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলেন। মিঠুন ১৯ বলে ২৮ ও হায়দার ১৮ বলে ৪২ রান করেন। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।
জবাবে ৪২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট পর্বে আগের দুই ম্যাচে জয় পাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স। জর্জ মানসে ও জাকের আলী সেখান থেকে ভালো ব্যাটিং করে দলের হারের ব্যবধান ছোট করেন। মানকে ৩৭ বলে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ২৩ বলে ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন জাকের। তিনটি চার ও চারটি ছক্কা মারেন এই স্লগার। চট্টগ্রামের হয়ে পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম জুনিয়র ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ