শপিং মল থেকে স্বর্ণ চুরি: ৩ জনের রিমান্ড
Published: 13th, January 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডির ‘সীমান্ত সম্ভারে’ স্বর্ণের দোকানে চুরির মামলায় তিন জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে মো. রুবেল ও সফিক ওরফে সোহেলের দুই দিন ও সাদ্দাম হোসেনকে এক দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশীতা ইসলাম রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের লালবাগ জোনের উপ-পরিদর্শক দেব কুমার আচার্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে শনিবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযানে কক্সবাজার ও কুমিল্লা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি আনুমানিক দুপুর ১টায় ধানমন্ডি মডেল থানার বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরের ‘ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্সের’ শো-রুমে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শো-রুমের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাত চোরেরা শো-রুমের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ১৫৯ ভরি বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এক অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের সাটার কেটে ভেতরে প্রবেশ করে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে স্বর্ণালংকার চুরি করে সংঘবদ্ধ চোরচক্র পালিয়ে যায়। ওই দলের একজন একটি চাদর দিয়ে দোকানের সামনে শেড তৈরি করে। অপর একজন দ্রুত সাটারের তালা কাটে। তৃতীয় ব্যক্তি শোরুমে প্রবেশ করে ডিসপ্লে থেকে স্বর্ণালঙ্কার বের করে একটি ব্যাগে ভর্তি করে দ্রুত বের হয়ে আসে। এ ছাড়া আরো কয়েকজনকে শোরুমের চারপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা