গুগল ড্রাইভে ফাইল আপলোডে নতুন যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 13th, January 2025 GMT
গুগল ড্রাইভ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। ফাইল আপলোডের সময় কমাতে ও সহজে ফাইলে প্রবেশ করতে গুগল ড্রাইভে ‘ডিফারেনশিয়াল’ নামের নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল। এ সুবিধা চালুর ফলে এখন থেকে ফাইলে থাকা তথ্য সম্পাদনার পর পুরো ফাইল নতুন করে আপলোড হবে না, এর পরিবর্তে শুধু সংশোধিত অংশগুলো নতুন করে আপলোড হবে। এর ফলে সিনক্রোনাইজেশন–প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক দ্রুত হবে এবং ব্যবহারকারীরা সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ইন্টারনেট ডেটাও সাশ্রয় করতে পারবেন।
সম্প্রতি গুগল ওয়ার্কস্পেস আপডেটস ব্লগে প্রকাশিত এক ঘোষণায় ‘ডিফারেনশিয়াল’ আপলোড নামের এই সুবিধা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। গুগল ড্রাইভে সবার জন্যই সুবিধাটি উন্মুক্ত থাকবে। গুগল জানিয়েছে, সুবিধাটি গুগল ওয়ার্কস্পেসের গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী—সবার জন্যই উন্মুক্ত। এটি চালু করতে ব্যবহারকারীদের আলাদাভাবে কিছুই করতে হবে না। ফাইল আপডেট করার সময় এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে। তবে ডিফারেনশিয়াল আপলোড নামের সুবিধাটি এখন শুধু ডেস্কটপ সংস্করণের জন্য চালু করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সুবিধাটি স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ
আরও পড়ুনগুগল ড্রাইভ ব্যবহারকারীদের সতর্ক করল গুগল, কেন১৫ মার্চ ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।