জমি চাষ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টর উল্টে চালকের মৃত্যু
Published: 13th, January 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে জমি চাষ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টর উল্টে মো. চাঁন মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক মারা গেছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলাধীন দাতকুপ্যা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চাঁন মিয়া মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার মৃত মো. সুলতান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালের দিকে ট্রাক্টরের মালিক হারেজ মিয়ার সঙ্গে দিনমজুরি দিতে চাঁন মিয়া ট্রাক্টর নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলাধীন দাতকুপ্যা এলাকায় কৃষি জমি চাষ করতে যান। জমি চাষ শেষে বেলা ১১টার দিকে ফেরার পথে রাস্তায় ওঠার সময় ট্রাক্টরটি হঠাৎ উল্টে যায়।
এসময় চালক চাঁন মিয়া ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়েন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে সঙ্গে থাকা ট্রাক্টরের মালিক হারেজ মিয়া আহত হন। বর্তমানে নিহতের মরদেহ খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।