খাগড়াছড়িতে জমি চাষ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টর উল্টে মো. চাঁন মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক মারা গেছেন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলাধীন দাতকুপ্যা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চাঁন মিয়া মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার মৃত মো. সুলতান মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালের দিকে ট্রাক্টরের মালিক হারেজ মিয়ার সঙ্গে দিনমজুরি দিতে চাঁন মিয়া ট্রাক্টর নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলাধীন দাতকুপ্যা এলাকায় কৃষি জমি চাষ করতে যান। জমি চাষ শেষে বেলা ১১টার দিকে ফেরার পথে রাস্তায় ওঠার সময় ট্রাক্টরটি হঠাৎ উল্টে যায়।

এসময় চালক চাঁন মিয়া ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়েন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে সঙ্গে থাকা ট্রাক্টরের মালিক হারেজ মিয়া আহত হন। বর্তমানে নিহতের মরদেহ খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

রফিক বলেন, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ