পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুর রহমানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কাউন্সিল অধিবেশনে অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান ও সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় শামসুর রহমানকে বিভিন্ন সময় সতর্ক করা হয়েছে। এরপরেও তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি কোনো সম্মান না দেখিয়ে গত ১০ জানুয়ারি জেলার বেড়া পৌরসভার দলীয় কাউন্সিল বাধাগ্রস্ত ও ভন্ডুল করার লক্ষ্যে কাউন্সিলস্থলের পাশে নেতা-কর্মীদের মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন ও অশোভন আচরণ করেন। সে কারণে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতেও চিঠি পাঠান হলো।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুর রহমান বলেন, ‘আমাকে বিধিবহির্ভূতভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এমন কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের অবগত করব।’

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, দলীয় শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কাজ করায় তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজ যারা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সম্মেলন বাতিল চেয়ে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ মিছিল

হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিল চেয়ে দলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিন্দপুর বাজারে সমাবেশ হয়। 

সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এবিএম জহির উদ্দিন সোহেল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সাত্তার, নূরে আলম এরশাদ প্রমুখ। রোববার গোবিন্দপুর বাজারে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হিমেল ও তাঁর সহযোগীরা নিজেদের লোক নিয়ে সাজানো সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। এটা দলের নেতাকর্মীরা মানে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে করা কাউন্সিলের চিন্তা বাদ দিয়ে নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীকে স্থান দিতে হবে। 

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম হিমেল বলেন, সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএনপি। মিছিল করেছে যুবদল। তাদের কোনো সাংগঠনিক এখতিয়ার নেই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিছিল করার। 

এ প্রসঙ্গে সিরাজ উদ্দিনের ভাষ্য, কথাটা ঠিক নয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলামসহ একাধিক বিএনপি নেতা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারা বক্তব্যও দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। 

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ