৪০তম এসআই ব্যাচ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 13th, January 2025 GMT
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ব্যাচ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওসমানী উদ্যানে এ অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
কর্মসূচি নিয়ে রায়হান হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের কী অপরাধে এভাবে ভোগাচ্ছে, জানি না। আমরা চাই, এর একটা সুরাহা হোক। আমাদের পুনর্বহালের বিষয়ে আইজিপি মহোদয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় মুভ করেছি, কিন্তু সমাধান পাইনি। দাবি আদায় না করা পর্যন্ত এখানে অবস্থান করব।’’
সাথী নামের আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কোনো স্লোগান, বিক্ষোভ নেই। আমাদের দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছি। আশা করছি সরকার এ বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে। চাকরিতে যোগদানের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত এখানে অবস্থান করব।’’
‘শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ দায়ে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।