জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা নির্ভেজাল গণতন্ত্র ও ভালো নির্বাচন চায় : ইসি আনোয়ারুল ইসলাম
Published: 13th, January 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ একটাই সেটা হলো মনকে ঠিক করা। উদ্দেশ্য মহৎ থাকলে চ্যালেঞ্জ কিছু না।
আমানত খেয়ানতকারীর অবস্থান জাহান্নাম। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ১৮ কোটি মানুষের আমানত। আর এই আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছে তাদের দেশপ্রেম কমিটমেন্ট দেখে আমরা অভিভূত। তারা নির্ভেজাল গণতন্ত্র চায়। তারা বলেছে, ভালো নির্বাচন না হলে তারা আবারো আন্দোলনে নামবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিবিটিইপি) প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানসিক শক্তি, সৎ উদ্দেশ্য ও সিনসিয়ারিটি থাকলে নির্ভেজাল ভোটার লিস্ট করা সম্ভব। ভুল এমনি এমনি হয় না। এর জন্য কেউ না কেউ দায়ী। এনআইডি নিয়ে বিগত দিনে অনেক বদনাম আছে।
তাই আমাদের সতর্কতার সাথে নির্ভুল ভোটার লিস্ট করতে হবে। জাতিকে ভালো এবং নির্ভেজাল ভোটার তালিকা উপহার দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন রকম। এখানে সব ধরনের লোক রয়েছে। ভালো ঐতিহ্য যেমন রয়েছে তেমনি খারাপ ঐতিহ্যও রয়েছে।
কর্মশালায় ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো.
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথপুরে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন গ্রেপ্তার
অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন– উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম। তাদের বিরুদ্ধে আজ জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার উপপরিচালক তকবির আহমদ ও সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুর নির্বাচন কার্যালয়ে আসেন। তারা বিভিন্ন নথিপত্র পর্যবেক্ষণ করে এনআইডি-সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন-বিয়োজন এবং বায়োমেট্রিক্স জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণ পান। পরে তদন্ত কর্মকর্তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ বলেন, সুনির্দিষ্ট অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
উপজেলা নাগরিক ফোরামের নেতা নুরুল হক বলেন, জগন্নাথপুর নির্বাচন কার্যালয় অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া ছিল। জন্মতারিখ পরিবর্তন করতে, কম বয়সী মেয়েদের বয়স বাড়াতে, নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করতে বা বায়োমেট্রিক জালিয়াতি করতে আলাদা আলাদা ঘুষের রেট নির্ধারণ ছিল। এই অফিসের দুর্নীতির ‘মহাজন’ ছিলেন মজিবুর রহমান। তাঁর গ্রেপ্তারের খবরে জগন্নাথপুরের মানুষ খুশি।
জগন্নাথপুর থানার ওসি রুহুল আমীন জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দু’জন সোমবার মধ্যরাত থেকে তাদের হেফাজতে ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা করেন। দু’জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যারা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে, তাদেরও এ মামলায় আসামি করা হবে।