হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর বরাতে এ হাদিসের বর্ণনা আছে।

(তিনি বলেন,) একবার আমি আনসারদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় আবু মুসা হঠাৎ ভীত–সন্ত্রস্ত হয়ে এসে বললেন, ‘আমি তিনবার উমর (রা)–এর কাছে অনুমতি চাইলাম, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো না। তাই আমি ফিরে এলাম।’

উমর (রা.) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাকে (ঘরের) ভেতরে প্রবেশ করতে কিসে বাধা দিল?’

আরও পড়ুনএক বুদ্ধিমান বালকের ঘটনা১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমি বললাম, ‘আমি প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছি, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই আমি ফিরে এসেছি। (কারণ) রাসুলুল্লাহ (সা.

) বলেছেন, যদি তোমাদের কেউ তিনবার প্রবেশের অনুমতি চায়; কিন্তু তারপরও অনুমতি দেওয়া না হয়, তবে সে যেন ফিরে যায়।’

তখন উমর (রা.) বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তোমাকে এ কথাটিকে অবশ্যই প্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’ তিনি সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ কি আছ যে নবী (সা.) কাছ থেকে এ হাদিস শুনেছে?’

তখন উবাই ইবনু কাব (রা.) বললেন, ‘আল্লাহর কসম! আপনার কাছে প্রমাণ দিতে দলের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তিই উঠে দাঁড়াবে।’

আমি ছিলাম দলের সর্বকনিষ্ঠ। তাই আমি তাঁর সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, ‘নবী (সা.) অবশ্যই এ কথা বলেছেন।’

মুসলিম, হাদিস: ২০৬২

আরও পড়ুনযেকোনো সময় এই দোয়া করা যায়১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ