আরাকান আর্মির সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখলের দাবিটি ভুয়া
Published: 13th, January 2025 GMT
মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখল করে নিয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। সোমবার এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি কর্তৃক বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখল করার দাবিটি সঠিক নয়। কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ ছাড়াই ভুয়া এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুতে আলোচিত দাবিটির সূত্রপাত অনুসন্ধানে কতিপয় ভারতীয় এক্স হ্যান্ডেলে অন্তত ৩০ ডিসেম্বর থেকে উক্ত দাবিটি প্রচার হতে দেখা যায়। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি কর্তৃক বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখল কিংবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির অনুপ্রবেশের কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী অনুসন্ধানে মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতির ওয়েবসাইটে গত ৯ ডিসেম্বর ‘আরাকার আর্মি টেকস কমপ্লিট কনট্রোল অব মিয়ানমার-বাংলাদেশ বর্ডার আফটার সিজিং মংডু’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর দেশটির মংডু শহর দখলের পর আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওই বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করণে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক মতামত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
প্রায় নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বর্তমানে ক্রিয়েতি ডট ইন নামের যে এক্স অ্যাকাউন্টটি থেকে ভুয়া এই দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে, সেই একই অ্যাকাউন্ট থেকে গত মাসে আরাকান আর্মি কর্তৃক বাংলাদেশের টেকনাফ অঞ্চল দখলের আরেকটি ভুয়া দাবিও প্রচার করা হয়েছিল। সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখল করে নিয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের আত্মা শুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।
আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।
আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।
বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।