প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন উপাচার্য
Published: 13th, January 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি দেখা করেন। এসময় জাবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন বিষয়ে কী কী অগ্রগতি ঘটেছে তার বিবরণ তুলে ধরেন। এছাড়া জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন উপাচার্য।
উপাচার্য কামরুল আহসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহুল প্রতীক্ষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের তফসিল আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে। ১০ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালে জাবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র নয়বার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রায় ৩৩ বছর ধরে প্ল্যাটফরমটি নিষ্ক্রিয়। সবশেষ ১৯৯২ সালে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এছাড়া উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং প্রথম বর্ষের ভর্তি ফর্ম ফি কমানো হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক কামরুল আহসান জানান।
জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা উপাচার্যকে বলেন, ‘যদি আপনারা চান, তাহলে জাকসু নির্বাচন আয়োজন করুন। নির্বাচনটি আপনাদের নেতৃত্বে আয়োজন করুন।’
এসময় অধ্যাপক কামরুল আহসান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। তিনি বলেন, আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ লাখ টাকা প্রদান করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ট্রাফিককে মারধর করায় ছাত্রদল নেতা আটক
ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলকে মারধর করায় অভিযোগ এনে যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কনস্টেবল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল নম্বর ১৭১১) শরিফুল ইসলাম যশোর শহরের জেল সড়কে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রদল নেতা শাওন। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেলটি সরিয়ে নিতে বলেন।
এসময় শাওনের সঙ্গে পুলিশ সদস্য শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাওন ওই কনস্টেবলের মুখে ঘুষি মারেন। ধস্তাধস্তিতে শরিফুলের পোশাকও ছিঁড়ে যায়। পরে ট্রাফিক পুলিশের অন্য কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে শাওনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কের ওপর ছাত্রদল নেতা শাওন মোটরসাইকেল রেখে যানজট সৃষ্টি করছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত কনস্টেবল শরিফুল তাকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন, ‘চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না। আর তুই!’ এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন। শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।’’
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস