লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে লাকড়িবাহী ট্রাক্টর চাপায় মো. মিরাজ (২২) নামের এক চটপটি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার করইতলা বাজারের নতুন রাস্তার মাথা নামক স্থানে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মিরাজ উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকার বাঘা বাড়ির আজাদ উদ্দিনের ছেলে। তারা সপরিবারে চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের চর লরেঞ্চ গ্রামের সেলিম মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

ট্রাক্টর মালিক উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার শহীদ ব্যাপারী ও চালক একই এলাকার কবির হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পাওয়ার ট্রাক্টরটি তোরাবগঞ্জ চর লরেন্সের দিকে যাচ্ছিল। এসময় কড়ইতলা বাজার এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারালে ফুটপাতের চটপটি বিক্রেতার ওপর তুলে দেন চালক। এতে চটপটি বিক্রেতার ভ্যানগাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চটপটি বিক্রেতা মিরাজ নিহত হন। তার ভ্যানগাড়িটিও ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা দৌড়ে ট্রাক্টরটি আটক করতে পারলেও ততক্ষণে পালিয়ে যান চালক।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একটি ব্রিক ফিল্ডের জন্য  লাকড়িবাহী ট্রাক্টর চাপায় চটপটি বিক্রেতা মারা যায়। চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া শিমার ভর্তির দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী শিমা আক্তারের ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিমার হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন তিনি। টাকার অভাবে এ মেধাবী শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

শিমা আক্তার বলেন, ‘‘মেডিকেলে পড়ব সেই স্বপ্ন ছোট থেকেই ছিল। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত হলেও টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছিল। পরে জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন ভর্তির জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। যেভাবে সবার সহযোগিতা পেয়েছি, একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে আমিও অন্যদের সহযোগিতা করব।’’

শিমার মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘‘দুই ছেলে কৃষিকাজসহ দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। অভাবের সংসারে টানাপোড়নের মাধ্যমে শিমাকে পড়ালেখা করিয়েছি। সে এখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবে। আমি চাই, সেও যেন ভবিষ্যতে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসে।’’

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী শিমা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেও টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। প্রাথমিকভাবে ভর্তিসহ আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য আমরা তাকে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজন জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে। শুধু শিমার ক্ষেত্রেই নয়, জেলার প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাজীবনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য যা প্রয়োজন জেলা প্রশাসনের সেই উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’’

শিমা আক্তার লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের আলী আহমেদের মেয়ে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে শিমা পঞ্চম।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি শিমা। এবার মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৩১৬তম স্থান অর্জন করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

ঢাকা/লিটন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া শিমার ভর্তির দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক