লক্ষ্মীপুরে ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল চটপটি বিক্রেতার
Published: 13th, January 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে লাকড়িবাহী ট্রাক্টর চাপায় মো. মিরাজ (২২) নামের এক চটপটি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার করইতলা বাজারের নতুন রাস্তার মাথা নামক স্থানে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজ উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকার বাঘা বাড়ির আজাদ উদ্দিনের ছেলে। তারা সপরিবারে চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের চর লরেঞ্চ গ্রামের সেলিম মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ট্রাক্টর মালিক উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার শহীদ ব্যাপারী ও চালক একই এলাকার কবির হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পাওয়ার ট্রাক্টরটি তোরাবগঞ্জ চর লরেন্সের দিকে যাচ্ছিল। এসময় কড়ইতলা বাজার এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারালে ফুটপাতের চটপটি বিক্রেতার ওপর তুলে দেন চালক। এতে চটপটি বিক্রেতার ভ্যানগাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চটপটি বিক্রেতা মিরাজ নিহত হন। তার ভ্যানগাড়িটিও ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা দৌড়ে ট্রাক্টরটি আটক করতে পারলেও ততক্ষণে পালিয়ে যান চালক।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একটি ব্রিক ফিল্ডের জন্য লাকড়িবাহী ট্রাক্টর চাপায় চটপটি বিক্রেতা মারা যায়। চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ধোঁয়ায়-দূষণে ধুঁকছে গ্রামটি
একটি গ্রামেই গড়ে উঠেছে ৩৬টি ইটভাটা। দিনরাত ইট পোড়ানো হয় এসব ভাটায়। ইট নিতে সারাক্ষণ চলাচল করে যানবাহনগুলো। এতে ধুলা-ধোঁয়ায় প্রায় সময় আচ্ছন্ন থাকে গ্রামটি। এ চিত্র লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের।
চর আফজল গ্রামে বাসিন্দা রয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার। অপরিকল্পিত ইটভাটার কারণে বেকায়দায় রয়েছেন তাঁরা। তবে শুধু এই গ্রাম নয়, পুরো চর রমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দাদেরই ইটভাটার কারণে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর আফজল গ্রামের আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এক-দুটি বাড়ির পরেই রয়েছে ইটভাটা। গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ইটভাটার কারণে গাছপালাও মরে যাচ্ছে। আগুনের তাপে গাছগুলো লাল হয়ে যায়। আরেক বাসিন্দা কৃষক নজরুল মিয়া বলেন, লোকালয়ের মধ্যে থাকা ভাটায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে রবি শস্যের। এখন আর এ এলাকায় তেমন রবিশস্য হয় না।
বসতবাড়ির পাশে ও ফসলি জমিতে ইটভাটা করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইটভাটার মালিক নুরুল ইসলাম, মো. আলমগীর ও কামরুল ইসলাম বলেন, ইটভাটাগুলো আগেই করা হয়েছে। তখন গ্রামে মানুষের বসতি কম ছিল।
২০২৪ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন। তিনি জানান, রিটে রামগতি উপজেলার ৪৮ এবং কমলনগর উপজেলার ১০টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এরপরও এসব ইটভাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
জানতে চাইলে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পর আমরা বেশ কিছু ইটভাটা ভেঙে দিয়েছি। প্রশাসনের লোকজন চলে আসার পর তাঁরা আবারও ইটভাটা মেরামত করে কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করা হয়েছে এবং ইটভাটাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’