বুধবার সেনাবাহিনীর কাছে কাজ হস্তান্তর হবে: জবি উপাচার্য
Published: 13th, January 2025 GMT
আগামী বুধবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টায় সচিবালয়ের মিটিং শেষে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরো সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।”
এদিকে, এ সিদ্ধান্ত আসার পরও অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেননি শিক্ষার্থীরা। তারা নতুন তিন দফা দাবি জানিয়েছেন।
দাবিগুলো হলো- সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে; শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে; কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোন প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
তাদের আগের দাবির মধ্যে রয়েছে, পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড.
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন শুরু
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষার্থী দুপুর ৩টার দিকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী জড়ো হন। বিকেল ৪টার দিকে তারা অনশন শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।
আরো পড়ুন:
খামারবাড়িতে শেকৃবি-কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
ডিপ্লোমা নার্সিং কোর্সকে স্নাতকের সমমান করার দাবিতে বিক্ষোভ
অনশন শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক। আজ দুপুর ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার, সহকারী ছাত্র কল্যাণ পরিচালক রাজু আহমেদ ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল গনি ভূঁইয়া।
স্টুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, “ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা তাদের নিয়ে বসেছি। তারা তাদের সমস্যার জায়গাগুলো আমাদের জানাবে। তাদের সব সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় সে লক্ষ্যে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।”
তিনি আরো বলেন, “ছাত্ররা আমাদের সন্তানের মতো। তারা অন্যায় বা ভুল করতে পারে। এমনকি আমরাও ভুলের ঊর্ধ্বে নই। শিক্ষক হিসেবে আমাদের অগ্রাধিকার সব সময় শিক্ষার্থী। তাদেরকে নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটা ছাত্রের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আমি বদ্ধ পরিকর। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই, ছাত্রদের কোনো বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে তার সমাধান করা আমার অন্যতম ও প্রধান দায়িত্ব।”
তিনি আরো বলেন, “৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। উক্ত বহিষ্কার কিন্তু চূড়ান্ত নয়। এখানে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বসবে। যে সব ছাত্রদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তির মুখোমুখি না হন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন, অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, অধ্যাপক ড. রাজিয়া খাতুন, অধ্যাপক ড. রোকনউদ্দিন, অধ্যাপক ড. ইলিয়াস এনাম, অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান, অধ্যাপক ডক্টর মনির হোসেন, অধ্যাপক ড. আওলাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. আহমেদ হাসান আলী, অধ্যাপক ড. কাউসার আহমেদ রিজভী, অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম।
কুয়েট ক্যাম্পাসে ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো-ভিসি, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
বন্ধের ৫২ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন ছাত্ররা।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ