৩১ ঘণ্টা ধরে অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
Published: 13th, January 2025 GMT
তিন দফা দাবিতে ৩১ ঘণ্টা ধরে গণঅনশন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন অনুষদের ভবনে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দেন।
সেনাবাহিনীর কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
গণঅনশন কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক অবরোধ
সরকারি তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে আমরণ অনশন শুরু করে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
ঢাকার বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, তিতুমীর কলেজের সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অবরোধ করছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি জানান।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ এর সাত দফা দাবিগুলো হলো- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন ও ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বিগত ২৮ বছর ধরে আন্দোলন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের সরকারের পটপরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীরা আবারও নতুন করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করেন তারা।