এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, হাসিনার লোটা বাহিনীর বড় বড় ব্যবসায়ীরা টেলিফোন ব্যবহার করে হাসিনার সঙ্গে কথা বলছেন, ভারতের সঙ্গে কথা বলছেন। আওয়ামী লীগের যারা লোটা বাহিনী সচিবালয়ে আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিভিন্ন জায়গায় যারা আত্মগোপনে আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন, গুপ্ত হত্যা, ক্ষতিকর কাজ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা ধ্বংসাত্মক কাজের পরিকল্পনা করছেন।

সোমবার মগবাজারে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অলি আহমেদ বলেন, হাসিনার লোটা বাহিনীর সদস্য আমলা আর ব্যবসায়ীরা যারা হাসিনাকে বলেছিল এখনও আছি, বিগত দিনেও ছিলাম আর ভবিষ্যতেও থাকবো তাদের রাজনীতিবিদরা শেল্টার দিচ্ছে, তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। তাদের পাশে অফিস করছে। নির্লজ্জভাবে এ কাজগুলো করছি। কিন্তু এই আমলা আর বড় বড় ব্যবসায়ীরা যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এ দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। ব্যবসায়ীরা হাসিনাকে বলেছিল, মরার পরেও তারা পাশে থাকবেন তাদের শুধু জেলে নিলে হবে না, তাদেরকে আধাঘণ্টা উল্টানোর ব্যবস্থা করে তাদের কাছে লুণ্ঠনের টাকা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ টাকা জনগণের আর এটি উদ্ধারের দায়িত্ব সরকারের।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের রেষারেষি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কর্নেল অলি বলেন, এটা দুঃখজনক। জাতীয় রাজনীতি করলে সব কথার উত্তর প্রকাশ্যে দিতে হয় না। নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চলছে। নতুন দল আসুক কিন্তু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নয়।

ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সব চুক্তি স্থগিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কারো তদারকিতে বাংলাদেশ চলবে না। জনগণকে অসহায় অবস্থায় রেখে যেতে চাই না। কোনো দল বা মন্ত্রীর সেবা দাস হয়ে কাজ করব না।

এলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আপাতত বিএনপির সঙ্গে আছি। বিএনপিকে বলবো সমমনা দলগুলোকে ডেকে একটা সমন্বিত কর্মসূচি দেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিয়ে বলেন এই সময়ের মধ্যে আপনারা কাজ সম্পন্ন না করলে আপনাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামব।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ