কলম্বিয়ান ক্লাব জুনিয়র ডি বারানকুইয়ায় যোগ দেওয়ার খুব কাছাকাছিই ছিলেন কলম্বিয়ান তারকা হামেস রদ্রিগেজ। নানা পথ ঘুরে অবশেষে তাঁর ঘরে ফেরাও মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সবকিছুই উল্টে গেছে।

একাধিক সংবাদমাধ্যম বারানকুইয়ার সঙ্গে রদ্রিগেজের আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, এখন বারানকুইয়াতে নয়, রদ্রিগেজকে দেখা যেতে পারে মেক্সিকান ক্লাব লিওনে। শেষ পর্যন্ত এ খবর সত্যি হলে সাম্প্রতিক সময়ে মেক্সিকোতে খেলতে যাওয়া শীর্ষ তারকাদের একজন হবেন রদ্রিগেজ।

এদিকে বারানকুইয়ার সঙ্গে রদ্রিগেজের চুক্তির আলোচনা সফল না হওয়া নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। জানা গেছে, কোপা আমেরিকার টুর্নামেন্ট–সেরা তারকা রদ্রিগেজ নাকি কলম্বিয়ান ক্লাবটির সামনে চোখ কপালে ওঠার মতো কিছু দাবি রেখেছিলেন। যেখানে দলে যোগ দিলে তাঁকে ১৪ জন দেহরক্ষী দেওয়ার দাবিও ছিল।

আরও পড়ুনএই মুহূর্তটির জন্য ১৩ বছর অপেক্ষায় ছিলেন রদ্রিগেজ১১ জুলাই ২০২৪

জানা গেছে, কলম্বিয়ান শহর লানোগ্রান্দেতে রদ্রিগেজ ও ক্লাবটির মধ্যে লম্বা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কিছু দাবিতে একমত হলেও কিছু দাবিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। যে কারণে চুক্তির প্রক্রিয়াও আর এগোয়নি।

কলম্বিয়ান ক্লাবটির সূত্রের বরাত দিয়ে সাংবাদিক ফাবিও পোভেদা রদ্রিগেজের দাবিগুলো প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ১৪ জন দেহরক্ষীর পাশাপাশি কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড নাকি ক্লাবের কাছে সতীর্থ হিসেবে আরও ভালো খেলোয়াড় আনার দাবিও করেছেন।

পরে বারানকুইয়ার মালিক চাদ ফুয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে রদ্রিগেজের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন। এ সময় রদ্রিগেজের প্রতিনিধিরা আলোচনায় ‘আন্তরিক’ ছিলেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন কেইন–রদ্রিগেজ: এত কাছে তবু এত দূর১৬ জুলাই ২০২৪

বারানকুইয়ার মালিকের মন্তব্যের পরই মূলত পরিস্থিতি দিক বদলাতে শুরু করে। এখন মেক্সিকান ক্লাব লিওনের সঙ্গে রদ্রিগেজের চুক্তি স্রেফ সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। মেক্সিকোর এক শীর্ষ টেলিভিশন চ্যানেলও রদ্রিগেজের লিওনে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

টিউডিএন নামে চ্যানেলটি জানিয়েছে, ‘হামেস রদ্রিগেজ লিওনে আসছে। পরবর্তী সময়ে বাড়ানোর সুযোগ রেখেই এক বছরের চুক্তি করা হচ্ছে। সে আগামী সপ্তাহে আসবে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ডেতে মাঠে নামবে।’

আরও পড়ুনঅসুস্থ কিশোরীর পাশে রদ্রিগেজ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

এর আগে গত বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে লা লিগার ক্লাব রায়ো ভায়েকানোতে যোগ দেন রদ্রিগেজ। তবে পাঁচ মাস পর এই জানুয়ারিতে ভায়েকানোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি বাতিল করেন তিনি। এর পর থেকেই নতুন ক্লাবের সন্ধানে ছিলেন কলম্বিয়ার এই তারকা ফুটবলার।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে ৭১ চেকপোস্টে গ্রেপ্তার ১৬০

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ চেকপোস্টে ১৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, “গত শনিবার (১ মার্চ) রাত ১২টা থেকে রবিবার (২ মার্চ) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এর মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে-মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি।”

তিনি বলেন, “মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।”

জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে দুই পালায় সিটিটিসির ১৪টি, তিন পালায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ১২টি ও ডিএমপির সঙ্গে রাতে র‌্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ডিএমপির সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন কর্তৃক ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।

তালেবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে ৬ জন ডাকাত, ১৭ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, ৩ জন চাঁদাবাজ, ১৮ জন চোর, ২০ জন চিহ্নিত মাদককারবারি, ১৯ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী।

অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ৩টি চাকু, ২টি সুইচ গিয়ার, একটি দা, ৩টি লোহার রড, ৬টি মোবাইল ফোন ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার ৩০ পিস ইয়াবা ও এক কেজি ৫৮৪ গ্রাম গাঁজা। এসব ঘটনায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ