নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাথিরা জাকির জেসি। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রথম নারী আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক আইসিসি ইভেন্টে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।  

ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি বিশ্বকাপের জন্য ২০ জন ম্যাচ অফিসিয়ালের তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৪ জন ম্যাচ রেফারির পাশাপাশি থাকছেন ১৬ জন আম্পায়ার, যেখানে জায়গা পেয়েছেন জেসি। এর আগে ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নারীদের এশিয়া কাপেও আম্পায়ারিং করেছিলেন তিনি। ডাম্বুলায় গত বছর শ্রীলঙ্কা-ভারত ফাইনালে জেসি ছিলেন অন ফিল্ড আম্পায়ার।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ১৮ জানুয়ারি এবং চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জায়গা হয়েছে ‘ডি’ গ্রুপে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নেপাল এবং স্কটল্যান্ড।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ