সিলেটে আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত সমাপ্ত হওয়া তিন দিনের ওয়াজ মাহফিলে শতাধিক মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির মধ্যে ৭৪ জনই মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন। পাশাপাশি মামলা করেছেন আরও দুই জন। সোমবার পর্যন্ত পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।

সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনের ওয়াজ মাহফিল শনিবার রাতে শেষ হয়। মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার আওতাধীন ওই মাঠে সমাপনী দিনের বক্তা ছিলেন ড.

মিজানুর রহমান আজহারী। তার বক্তব্য শুনতে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হন। ওই দিন রাতে ও এর আগের দিন রাতে মোবাইল চুরির ঘটনায় গত রোববার থানায় ৩৩ জন জিডি ও দুই জন মামলা করেন। সোমবার আরও জিডি করেছেন ৪১ জন।
 
চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার নারী ও ছয় পুরুষকে পুলিশ আটক করেছে উল্লেখ করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানিয়েছেন তাফসির মাহফিল থেকে মোবাইল চুরির ঘটনায় ৭৪ জন জিডি করেছেন। মামলা করেছেন আরও দুইজন। পুলিশ জিডি ও মামলার তদন্ত শুরু করেছে। সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিক্ষোভ সমাবেশের আগেই সিলেট ডিসি অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণ

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ করা হয়েছে। তবে কে সেটি সরিয়েছে তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

হযরত শাহজালাল (রহ.) তাওহিদি কাফেলার ব্যানারে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সমাবেশের আগে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ম্যুরাল ভাঙতে গিয়ে দেখেন যথাস্থানে সেটি নেই।

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের আলেম সমাজের একটি অংশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অপসারণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আসছিলেন। ২৬ জানুয়ারি আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকও হয়। বৈঠকে সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল উলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক, সামাজিক, ছাত্র ও ইমাম সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ম্যুরাল অপসারণে তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সেটি না সরালে তারা এটি সরিয়ে নেবেন বলে হুমকি দেন।

ম্যুরাল অপসারণ করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তাদের পক্ষ থেকে কোনোভাবে সেটি সরানো হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ