‘আয়নাবাজি’খ্যাত নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী নির্মাণ করেছেন ‘রিকশা গার্ল’। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি পুরস্কারও জিতেছে। এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। আগামী ২৪ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এটি।

যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিন্সের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমা ২০২০ সালে দেশে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে বদলে যায় সেই পরিকল্পনা। রবিবার (১২ জানুয়ারি) সিনেমাটির নতুন ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে। এ সময় মুক্তির তারিখও ঘোষণা করা হয়।

শিল্পীমনা নারী নাঈমাকে ঘিরে ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার গল্প আবর্তিত। সে ছবি আঁকতে পছন্দ করে। কিন্তু দরিদ্র সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছবি এঁকে যেহেতু পয়সা মেলে না, তাই নাঈমা কোনো উপায় না পেয়ে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়। জটিল হতে থাকে সিনেমার গল্প। প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়, নাঈমা কীভাবে তার স্বপ্নপূরণ করবে!

আরো পড়ুন:

‘তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা’

সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন যীশুর কন্যা, নীরবতা ভাঙলেন সারা

‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান। এছাড়াও রয়েছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্র প্রমুখ। নাঈমার মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে মোমেনা চৌধুরী ও বাবার চরিত্রে নরেশ ভূঁইয়াকে। ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে আছে বঙ্গ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ