দুদকের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের এপিএস মো. মনির হোসেনের ৫ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার নামে থাকা আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মো.

নাছরুল্লাহ হোসাইন তার স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মো. মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন পূর্বক নিজ ভোগ দখলে রেখেছেন। তার নিজ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতিষ্ঠান এবং নিজ ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যাংক হিসাবে মোট ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা হস্তান্তর, রুপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেছেন। তিনি সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করে রিসিভার নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বাদী হয়ে সাবেক এপিএস মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

বিক্ষোভ সমাবেশের আগেই সিলেট ডিসি অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণ

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ করা হয়েছে। তবে কে সেটি সরিয়েছে তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

হযরত শাহজালাল (রহ.) তাওহিদি কাফেলার ব্যানারে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সমাবেশের আগে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ম্যুরাল ভাঙতে গিয়ে দেখেন যথাস্থানে সেটি নেই।

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের আলেম সমাজের একটি অংশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অপসারণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আসছিলেন। ২৬ জানুয়ারি আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকও হয়। বৈঠকে সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল উলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক, সামাজিক, ছাত্র ও ইমাম সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ম্যুরাল অপসারণে তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সেটি না সরালে তারা এটি সরিয়ে নেবেন বলে হুমকি দেন।

ম্যুরাল অপসারণ করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তাদের পক্ষ থেকে কোনোভাবে সেটি সরানো হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ