চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার রায়হান রাফীর বাবা বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। প্রথম আলোকে রাফীর বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা।
প্রথম আলোকে তমা বলেন, ‘গতকাল বিকেলে রাফীর বাবা হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর আমরা সবাই মিলে তাঁকে দ্রুত গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকেরা জানান আংকেলের অবস্থা জটিল। তারপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে আমরা আংকেলকে নিয়ে আরেকটি হাসপাতালে যাই। সন্ধ্যায় সেখানে তাঁকে ভর্তি করানোর পর দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দ্রুত আইসিইউ হয়ে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে চিকিৎসক আংকেলের মৃত্যুসংবাদ আমাদের জানান।’
তমা জানালেন, রাফীর বাবার দুই বছর আগে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তার পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই তিনি জীবন যাপন করছিলেন। এদিকে তিনি ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত ছিলেন। তমা আরও বলেন, ‘হাসপাতালের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ সোমবার সকালে আংকেলের মরদেহ নিয়ে রাফী সিলেটের উদ্দেশে রওনা করেছে। তার এক বোন লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরার জন্য রওনা করেছেন। সে কারণে আজ সিলেটের একটি হাসপাতালের হিমঘরে আংকেলের মরদেহ রাখা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ আসর সিলেটের ফাজিলপুরের কুমারপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।’
তমা জানান, রাফীরা তিন বোন ও এক ভাই। দুই বোন যুক্তরাজ্যে থাকেন। আরেকজন সিলেটে। এক বোন দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে এসেছেন।
শুরুর দিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও গানের ভিডিও বানালেও চলচ্চিত্র বানিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান রায়হান রাফী। প্রথম চলচ্চিত্র ‘পোড়ামন ২’ বানিয়ে নিজেকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলেন তিনি। এই পরিচালকের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘তুফান’, যা গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যবসাসফল ছবি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় নরেন্দ্র মোদিকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বার্তা উল্লেখ করা হয়।
বার্তায় তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এই জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।’
মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৬।