শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ায় সীমান্তের ১৬০ জায়গায় বেড়া দিয়েছে ভারত: রিজভী
Published: 13th, January 2025 GMT
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তের ১৬০টি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন রিজভী। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আয়োজক জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশাচালক শ্রমিক দল।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতকে নানা সুবিধা দিয়েছেন। এই সুবিধার কারণে ভারত নানা অসম কাজ করেছে। দুটি স্বাধীন দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যে কাজগুলো করা যায়, সেটা না করে ভারত জোর করে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ভারত সীমান্তের ১৬০টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
৪ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম, বিধিবিধান, দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি, আলাপ-আলোচনাও মানছে না ভারত। শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজ সীমানার মধ্যে কোনো উন্নয়ন–পরিকল্পনা নিতে গেলে দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।
কিন্তু সেটা না মেনে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়গার সীমান্তে। এর বিরুদ্ধে যে জনগণ দাঁড়াতে পারে, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা প্রতিরোধ করতে পারেন, এ দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার আমলে তিনি স্থাপন করতে দেননি। তিনি ফ্যাসিজম দিয়ে, তাঁর নির্দয়তা দিয়ে, তাঁর নির্মমতা দিয়ে ভারতের সেবাদাস হয়ে কাজ করেছেন।
রিজভী বলেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) একটা কথা বলতেন, নিজের দলের লোকদেরও বলেছেন যে আমার দলের লোকদের মধ্যে অনেককে কেনা যায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না। আরে, আপনাকে (শেখ হাসিনা) তো সবার আগে কেনা যায়…ভারত আপনাকে সবার আগে কিনেছে…কেনার কারণে আপনার নিজের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গৌরবকে আপনি পদদলিত করে ভারতকে অসম কাজ করার সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন।’
দোয়া মাহফিলে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশার চালকদের ভূমিকা, আত্মত্যাগ, বীরত্ব, আহত হওয়ার কথা স্মরণ করেন রিজভী। আহত ব্যক্তিদের পাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের থাকার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।