আগের পর্বআরও পড়ুনগ্যাস নাই, কারেন্টও নাই, সবই আমার কপাল১২ জানুয়ারি ২০২৫

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনুপ্রবেশের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ৭ জেলে ভারতের হাজতে

জিঞ্জিরাম নদী হয়ে ভারতের ভেতরে মাছ ধরতে গিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে দেশটির হাজতে বন্দি রয়েছেন কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুরের সাত জেলে। কীভাবে তাদের ফেরানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় সাত জেলের পরিবার।
 
গত ৪ নভেম্বর তাদের আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এরপর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি ভারতের আমপাতি জেলার মাহিন্দগঞ্জ থানার তুরা মেঘালয় থানা এলাকার এক বাসিন্দার মাধ্যমে গোপনে পাঠানো চিঠিতে তাদের সন্ধান মেলে। 

আটক জেলেরা হলেন-  চিলমারী উপজেলার হরিনের বন্দ এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), রমনা ব্যাপারী পাড়া এলাকার বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), শামছুল হকের ছেলে মীর জাহান আলী (৪৫), মৃত এছাহক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), পকের আলীর ছেলে আমির আলী (৩৫),  রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়ার জরিপ উদ্দিনের ছেলে আঙ্গুর হোসেন (২০) ও রৌমারী উপজেলার যাদুর চর বকবান্ধা এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুকুনুজ্জামান স্বপন বলেন, হাজতে আটকরা পেশায় জেলে। তারা কয়েক বছর ধরে বৈধভাবে ভারতে গিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তারা বৈধভাবে যেতে না পেরে, অবৈধভাবে মাছ ধরতে গিয়ে আটক হন। জানা গেছে, বর্তমানে তারা মেঘালয়ের কালাইর চর পেট্রোল থানা আমপাতিতে রয়েছেন। চলতি মাসে হাজত থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিতে না পারলে, স্থায়ী সাজা দেওয়া হবে। এদিকে হাজতে আটক জানার পর থেকে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে জেলে পরিবারগুলো। 

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান, বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। জেলেদের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ