গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শাখার সহকারী শিক্ষক বশির উদ্দিনের ওপর হামলাকারী গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনিকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে  জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয় বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায় দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শাখার সহকারী শিক্ষক বশির উদ্দিনকে গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনির নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক স্কুলের অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে বেধম মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্কুলে প্রাক্তন ছাত্র রিজভি আহমেদ রাজিব শিক্ষক বশির উদ্দিনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে শিক্ষক বশির উদ্দিন ও শিক্ষার্থী রিজভি আহমেদ রাজীবকে উদ্ধার করে। পরে তাদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম রনিকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুটি অভিযোগ দিয়েছেন। কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। আসামিদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ