কর্নওয়াল-টপলিকে ছাড়া চিটাগংয়ের বিপক্ষে বোলিংয়ে সিলেট
Published: 13th, January 2025 GMT
বিপিএলে সিলেট পর্বের শেষ দিনের খেলায় মাঠে নেমেছে চিটাগং কিংস এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স। নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর দেড়টায় মাঠে নেমেছে দুই দল। টস জিতে সিলেট স্ট্রাইকার্স বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিলেটের একাদশে দুইটি পরিবর্তন এসেছে। রাকিম কর্নওয়াল গ্রোয়েন ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন। পেসার রিচ টপলি নেই হ্যামস্ট্রিং চোটে। একাদশে এসেছেন পল স্টারলিং ও নিহাদুজ্জামান। চিটাগং কিংস একই একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে।
দুই দল এবারই প্রথম মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর সিলেট চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে জয় পায়। আজ তাদের বিপিএলে ষষ্ঠ ম্যাচ। জয় দিয়ে ঘরের মাঠে লড়াই শেষ করতে মুখিয়ে তারা। অন্যদিকে চিটাগং তিন ম্যাচে দুটিতে জিতেছে, হেরেছে একটিতে। প্রথম ম্যাচে ঢাকায় হারের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পায় তারা। চট্টগ্রামে মাঠে নামার আগে সিলেটে শেষটা ভালো করতে মুখিয়ে তারাও।
আরো পড়ুন:
‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়’
৩৪৬ রানের ইনিংস খেলে ইরার রেকর্ড
সিলেট স্ট্রাইকার্স একাদশ:
আরিফুল হক, জর্জ মুনসে, পল স্টারলিং, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক, নাহিদুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, অ্যারোন জোন্স ও নিহাদুজ্জামান।
চিটাগং কিংস একাদশ:
মোহাম্মদ মিঠুন, পারভেজ হোসেন ইমন, উসমান খান, হায়দার আলী, শামীম হোসেন, গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাবিল সামাদ, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও আলিস আল ইসলাম।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগামীকাল শ্রদ্ধা জানাবে এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এর পর সাভার থেকে রায়েরবাজারে গিয়ে অভ্যুত্থানের সময় শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত করবেন এনসিপির নেতারা। এর মধ্য দিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
সাভার ও রায়েরবাজারের কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের অভ্যুত্থানের সময় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে দলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে দলের নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা হতে পারে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মধ্য দিয়ে এনসিপির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর পর শনিবার গভীর রাতে ২১৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে বাম ও ডানপন্থী সাবেক ছাত্রনেতাসহ বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ জায়গা পেয়েছেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা মানুষের পাশাপাশি নতুন এই দলের কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন দলিত-হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এখন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। কার্যালয় ঠিক হওয়ার আগপর্যন্ত আপাতত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এনসিপির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
দল ঘোষণার পর এনসিপি এখন নিবন্ধনের শর্ত পূরণের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভাবছে। সে জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক কার্যালয় করার কথা ভাবছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা।
এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য।’
এনসিপিকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে থাকা সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নির্বাচনের প্রসঙ্গটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে।
দল ঘোষণার পরদিন ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘যারা গণপরিষদের বিষয় সামনে আনছে, যারা সেকেন্ড রিপাবলিকের বিষয় সামনে আনছে, হয় তারা বোঝে না অথবা বুঝেও আমাদের এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আরও দীর্ঘায়িত অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মধ্যে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র আছে।’
সর্বশেষ গত রোববার রাজধানীতে এক ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি এখনো বুঝি নাই সেকেন্ড রিপাবলিক কী। কী বোঝায়, আপনারা বুঝেছেন কি না, জানি না? অর্থাৎ, একটা অছিলা ধরে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। দয়া করে খেয়াল রাখবেন।’
বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ নিয়ে নানা বক্তব্য দেওয়া হলেও এনসিপি এখন পর্যন্ত এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।