বয়স বাড়তে শুরু করলে আমাদের ত্বক থেকে একটু একটু করে কোমলতা, সতেজতা হারিয়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের সতেজতা ধরে রাখা যায়। ‘ভেরি ওয়েল ফিট’ এর তথ্য অবলম্বনে জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস ত্বকের জন্য ভালো।

নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠা: সকালের সতেজ বাতাস শরীর ও মনকে ভালো করে দেয়। যারা সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন এবং শ্বাসের ব্যয়াম করেন তাদের ত্বকে বয়সে ছাপ সহজে পড়ে না।

পানি পান করা: মানুষের শরীরের ৬০ শতাংশই পানি। দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পরে শরীরের পানির প্রয়োজন হয। ঘুম ভাঙার পরেই এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা উচিত। পুষ্টিবিদরা বলেন, চা, কফি বা কোনো নাস্তা খাওয়ার আগে পানি পান করা শরীরের জন্য ভালো। এতে হজমের সমস্যা দূর হয়। ত্বক কোমল থাকে। 

আরো পড়ুন:

আজ ‘ধন্যবাদ জানানোর দিন’

যেসব কারণে আপনি ভূমিকম্প টের পান না

গ্রিন-টি পান করা: সকালে নাস্তা গ্রহণের অন্তত ২০ মিনিট পরে এক কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। চায়ে আছে পনিফেনল নামের উপাদান। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এক কাপ গরম চা সকালে মন ভালো করে দেয়। কোলেস্টেরলমুক্ত রাখতে পারে গ্রিন টি।

সকালে হাঁটা: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে হাঁটলে শরীর ও মন দুইই ভালো থাকে। হাঁটলে শরীরের কোষগুলো সজীব রাখে। ফলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। এতে ত্বক সতেজ থাকে। সকালে হাঁটলে উপকারি কোলেস্টেরল বাড়ে-এর প্রভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন ১০ মিনিট হাঁটার শরীরের জন্য খুব ভালো। সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাঁটতে পারলে আরও ভালো। 

দিনের রুটিন অনুযায়ী কাজ শেষ করুন: কার্যতালিকা অনুযায়ী দিনের কাজ এগিয়ে নিতে পারেন। এতে কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন। মানসিক চাপ কম থাকবে। ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়বে না।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮১তম অধিবেশনে বাংলাদেশ একটি তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক জয়লাভ করেছে। আঞ্চলিক সহযোগিতায় ক্রমবর্ধমান নেতৃত্ব প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ইউএনইএসসিএপির অধীন মর্যাদাবান দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি) ও এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের (এপিডিআইএম) গভর্নিং কাউন্সিলে তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

ইউএনইএসসিএপির ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সহসভাপতি নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ভিডিও ভাষণ প্রচার করা হয়। ভাষণে তিনি সব ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানান। তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচন ও বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনের বাইরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইউএনইএসসিএপির নির্বাহী সচিবের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। বৈঠকে আইসিটি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদারসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর আলোচনা করা হয়।

তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি নির্বাচনী বিজয় এ অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রভাবশালী নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন। দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে মূল্যবান সমর্থনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ