Risingbd:
2025-03-03@17:03:17 GMT

বান্দরবানে নারী গুলিবিদ্ধ

Published: 13th, January 2025 GMT

বান্দরবানে নারী গুলিবিদ্ধ

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ‘রহস্যময়’ গুলিতে উমেপ্রু মার্মা (৩৪) নামের এক নারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তবে, কে বা কারা তাকে গুলি করেছে তা জানা যায়নি।

উমেপ্রু মার্মা ওই এলাকার চশৈপ্রু মার্মার বড় মেয়ে ও বান্দরবান বালাঘাটা করুণাপুর পাড়ার রোমেল তঞ্চগ্যা স্ত্রী। রোয়াংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্র মুকুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’’

ভুক্তভোগীর ছোট ভাই ক্যচিংনুং মার্মা জানান, উমেপ্রু মার্মা গতকাল স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। আজ সকালে পাড়ার পাশে শিম ক্ষেতে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি গুলি তার বাম পাশের পেটে লাগে। এ সময় ডাক-চিৎকার করলে পাড়াবাসী তাকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে, কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তারাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উনুমং মার্মা বলেন, ‘‘খেমাগ্রী পাড়ায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।’’

ঢাকা/চাই মং/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ

বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।

আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ