ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হজরত শাহ সৈয়দ আবদুল আজিজ বোগদাদীর (রহ.) মাজারের ৭৫৫তম বার্ষিক ওরস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর উপজেলা প্রশাসন জরুরি সভা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে, এমন আশঙ্কায় মাজারের ওরস বন্ধ রাখার জন্য পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দেয়।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান দরগাপাড়া গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছে বটগাছে ঘেরা হজরত শাহ সৈয়দ মাওলানা আবদুল আজিজ বোগদাদীর (রহ.

) মাজারকে ঘিরে। প্রায় ৪০ বছর মাজারের খাদেম হিসেবে আছেন নুরুল ইসলাম ফকির (৯০)। তিনি বলেন, ‘চারটি বটগাছে ঘেরা মাজারে প্রতিদিনই মানুষ আসে। তিন শ শতাংশ জায়গা নিয়ে মাজারটি।’

মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আইনজীবী কাজী শাহ জাহান বলেন, ‘এ বছর ৭৫৫তম বার্ষিক ওরসের আয়োজন করা হয়। ১৫ থেকে ১৭ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই ওরস হওয়ার কথা ছিল। এবার ইত্তেফাকুল ওলামার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওরস বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মাজারে গানবাজনা বন্ধ রাখলেও কোরআন খতম, শিরনি বিতরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালু থাকবে।’

ইত্তেফাকুল ওলামা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহমুদুল হক আজিজি বলেন, ‘আল্লাহর অলির মাজার অপবিত্র করে কার্যক্রম করা অন্যায়। অলির মাজারকে কষ্ট দেওয়ায় আমাদের ইমানি দায়িত্ব থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘আলেম-ওলামারা চাচ্ছেন না মাজারে ওরস হোক। এ ছাড়া ময়মনসিংহ শহরে একটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে প্রশাসনের একটি পর্যবেক্ষণ ছিল, এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হলে মোকাবিলা করা কঠিন হবে। ৫ আগস্ট–পরবর্তী পরিস্থিতি যেহেতু স্থিতিশীল নয়, সে কারণে ওরসের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি ঠিক হলে তারা করতে পারবে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ময়মনসিংহ শহরে মাজারে একটি ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি উপজেলা এটি। সেটির প্রভাব এখানেও পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল আমাদের। ৭৫৫তম ওরস হলেও এবার আগের মতো প্রেক্ষাপট নেই।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুরে সুরে সচেতনতায় ময়মনসিংহ, মুগ্ধ শহরবাসী

‘সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে একজোট হয়েছি আমরা’, ‘চলো স্কুলেতে যাই, লেখাপড়া শিখবো ভাই’, ‘না জানিয়া না বুঝিয়া রে, ও কেহ গুজবে কান দিও না’—এমন হৃদয়ছোঁয়া গানের কথা ও সুরে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিয়মিত শিল্পীদলের দুই দিনের সফরে ময়মনসিংহে যেন তৈরি হয় সঙ্গীত ও সচেতনতার অপূর্ব মেলবন্ধন। 

মঙ্গলবার ও বুধবার জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চ, মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তন, খাগডহর ইউনিয়নের রহমতপুর বাইপাস মোড় এবং রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সঞ্চালিত হয় একাধিক পথনাট্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষ, এমনকি রিকশায় বসে থাকা যাত্রীরাও রীতিমতো উপভোগ করেছেন শিল্পীদের কণ্ঠে দেশপ্রেম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, গুজব বিরোধিতা ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বার্তা।

সমাপনী দিনে মুসলিম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম শিল্পীদের দলনেতা জাকিউল হাই, কণ্ঠশিল্পী জয়িতা ঘোষ দোলা, প্রিয়াংকা দাশ, মাইদুল হকসহ যন্ত্রশিল্পীদের ধন্যবাদ জানান। 

তিনি ময়মনসিংহবাসীর অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “সঙ্গীতের আহ্বানে যেভাবে মানুষ সাড়া দিয়েছে, তাতে প্রমাণ হয় সচেতনতার পথেও সুর হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার।”

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুরে সুরে সচেতনতায় ময়মনসিংহ, মুগ্ধ শহরবাসী
  • সেই ময়মনসিংহেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালের বাকি ১৫ মিনিট
  • ১০৫ মিনিট পর স্থগিত ফাইনাল, বাকি খেলা কবে
  • ১০৫ মিনিট পর স্থগিত ফাইনাল, ১৫ মিনিটের খেলা কবে
  • শহুরে ও গ্রামীণ জীবনের ফারাক ৩০০ কিমি কাঁচা সড়ক
  • হাজিদের জন্য বাড়িভাড়া নেওয়ার কাজ শতভাগ সম্পন্ন
  • ময়মনসিংহে বাস থেকে মাথার খুলি-হাড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
  • পৃথিবীর বাদশাহ
  • ৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে রিয়াদ গেল ইউএস-বাংলার প্রথম ফ্লাইট
  • ঢাকার আকাশে কালো মেঘ