অস্ট্রেলিয়ার একজন ফ্রিডাইভার সুইমিংপুলের পানির নিচে এক দমে ৩৭০ ফুট ২ ইঞ্চি হেঁটেছেন। এখন এক দমে পানির নিচে সবচেয়ে বেশি পথ হাঁটার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের (নারী বিভাগে) মালিক অ্যাম্বার বোরক নামের ওই নারী।

পানির নিচে দম রাখা কিন্তু একেবারেই সহজ কাজ নয়। তার ওপর আবার হাঁটা! সাধারণ একজন মানুষ কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া একবার দম নিয়ে পানি নিচে গড়পড়তা ১৫, ২০ বা ৩০ সেকেন্ড থাকতে পারেন। তবে অনুশীলন করে করে অনেকে নিজের ভেতর দম ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ান। যেমনটা করেন ফ্রিডাইভাররা। যাঁরা কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া পানির নিচে ডুব দেন, তাঁদের ফ্রিডাইভার বলে।

৩৫ বছরের অ্যাম্বার ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফ্রিডাইভিং করেন। পানির নিচে দম ধরে রাখায় তিনি সিদ্ধহস্ত। নিজের এই দক্ষতার পাশাপাশি নতুন রেকর্ড গড়তে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পানির নিচে হাঁটার অনুশীলন করছেন।

পানির নিচে হাঁটা বেশ কঠিন কাজ। কারণ, পানির চাপ ওপরের দিকে ঠেলতে থাকে। পানির যত গভীরে যাওয়া হয়, সেই চাপ তত বাড়তে থাকে। তাই পানির তলদেশে সোজা হয়ে দাঁড়ানো বা হাঁটা খুবই কঠিন।

অনুশীলন করে করে কঠিন এই কাজ আয়ত্তে এনেছেন অ্যাম্বার। তিনি পানির নিচে তাঁর শরীরের ওপরের অংশ ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকিয়ে হাঁটেন এবং পানির চাপ ঠেলে সামনে এগিয়ে যান। এভাবেই তিনি গিনেস রেকর্ডসের মালিক হয়ে যান। এ কাজে তিনি নিজের রেকর্ডই ভেঙেছেন। এর আগে তিনি পানির নিচে ৩৫৭ ফুট ৭ ইঞ্চি হেঁটে রেকর্ড গড়েছিলেন।

নিজের এই রেকর্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পর অ্যাম্বার বলেন, ‘আমি সব সময় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের গর্বিত মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম।’

শুধু ব্যক্তিগত অর্জন বাড়ানোর জন্য নয়; বরং অস্ট্রেলিয়ার মেরিন কনজারভেশন সোসাইটির জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে অ্যাম্বার এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন এই নারী।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৫ যাত্রী নিহত

জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা পাঁচ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের কড়োগ্রাম এলাকায় জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- এনাম ফকির, সিএনজি চালক আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল করিম আলাল।

জামালপুর সদর উপজেলার নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. লুৎফর রহমান জানান, মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী একটি সিএনজি অটোরিকশাকে মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুত গতির একটি ট্রাক সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সিনএজি অটো রিকশায় থাকা ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। 

উদ্ধারকৃতদের মধ্য এনাম ফকির স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায়। এনামের বাবা আমজাদ ফকির গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মালপুর সদর উপজেলার নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. লুৎফর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে এখান থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।”

ঢাকা/শোভন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা
  • বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু 
  • গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
  • সাইফুল-সাজ্জাদে তটস্থ চট্টগ্রামের ৫ থানার পুলিশ
  • কামরুল হাসানের কাছে শিল্প ধরা দিয়েছিল
  • ‘আমার চিত্রকর সত্তার মৃত্যু ঘটিয়েছি’
  • ‘রেখাচিত্রকে অবহেলা করা উচিত নয়’
  • অনুষ্ঠানে প্রবেশে নারী সাংবাদিককে ‘বাধা’, যা হয়েছিল সেদিন
  • যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে নেই কেউ
  • জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৫ যাত্রী নিহত