প্রতি ওয়াক্ত ও জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য আজান দেওয়া হয়। নামাজের জন্য সবাইকে আহ্বান করতে আজান দেওয়া হয়। আজান শোনার পর দোয়া পড়তে হয়।

আজানের দোয়া:

আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু; ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।’

এই দোয়ার অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হজরত মুহাম্মদ (সা.

)-কে ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে ওই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন আর কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ আমাদের নসিব করুন; নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। আজানের পর দরুদ শরিফ পড়ে এ দোয়া পড়া সুন্নত।

আরও পড়ুনসুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াতে রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও তাৎপর্য০৩ জানুয়ারি ২০২৪

আজানের ফজিলত সম্পর্কে বুখারি শরিফে বলা হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পালায়, যাতে সে আজানের শব্দ না শোনে। যখন আজান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন নামাজের জন্য একামত বলা হয়, তখন আবার সে দূরে সরে যায়। একামত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে বলে, এটা স্মরণ করো, ওটা স্মরণ করো। এভাবে বিস্মৃত বিষয়গুলো সে স্মরণ করিয়ে দেয়। তাতে লোকটি এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছায় যে, সে কয় রাকাত নামাজ আদায় করেছে তা আর মনে করতে পারে না।

আরও পড়ুনআজান কেমন করে এল ২০ ডিসেম্বর ২০২৩আজান ও ইকামাতের বাক্যগুলো

প্রথমে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (চারবার), অতঃপর আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (দুবার), তারপর আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল’ (দুবার), তারপর হাইয়া আলাস সালাহ, ‘নামাজের জন্য আসো’ (দুবার) ও হাইয়া আলাল ফালাহ, ‘কল্যাণের জন্য আসো’ (দুবার) ; পরিশেষে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (দুবার) ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (একবার)। ফজরের নামাজের আজানে পঞ্চম বাক্যের (হাইয়া আলাল ফালাহ) পর বলতে হয়, আস সালাতু খায়রুম মিনান নাওম, ‘ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ (দুবার) এবং একামতে এই স্থানে বলতে হয় কদ কমাতিস সালাহ, ‘জামাত প্রস্তুত’ (দুবার)।

আরও পড়ুনহজরত বেলাল (রা.) অনুপস্থিত থাকলে নবীজি (সা.) তাঁকে বলতেন আজান দিতে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যৌন কেলেঙ্কারি থেকে ওভাল অফিসে

প্রায় দুই দশক হয়ে গেল ধারাবাহিকভাবে নিজেকে পপ কালচারের আলোচিত চরিত্র হিসেবে ধরে রেখেছেন কার্ডাশিয়ান। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপই যেন জন্ম দেয় আলোচনার। খুব কম তারকাই এতটা তারকাখ্যাতি সামলাতে পারেন, কিন্তু কার্ডাশিয়ান অন্য ধাতুতে গড়া। বিখ্যাত হওয়ার জন্যই যেন বিখ্যাত হয়েছেন তিনি।
এই এখন যেমন একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা। ২০১৬ সালে প্যারিস ফ্যাশন উইকে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন। হোটেলকক্ষে সেই ডাকাতির ঘটনায় তাঁর কয়েক মিলিয়ন ডলারের অলংকার খোয়া যায়। কার্ডাশিয়ান অভিযোগ করেন, মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এসব অলংকার লুট করা হয়। চুরি যাওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল কার্ডাশিয়ানের তখনকার স্বামী র‍্যাপার কানিয়ে ওয়েস্টের দেওয়া হীরার আংটি। এ ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২৮ এপ্রিল প্যারিসে মামলাটির পরবর্তী শুনানি।

তারকাখ্যাতি
১৯৮০ সালের ২১ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেস কিম কার্ডাশিয়ানের জন্ম। বড় হতে নানা ধরনের ঘটনার সাক্ষী হন তিনি। ১৯৯১ সালে তাঁর বাবা দুঁদে আইনজীবী রবার্টের সঙ্গে মা ক্রিসের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আবার বিয়ে করেন মা। পাত্র ১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে ডেকাথলনজয়ী ব্রুস জেনার। পরে ব্রুস আবার রূপান্তরিত হন। নাম হয় কেইলিন জেনার। বছর কয়েক পর কার্ডাশিয়ানের বাবা রবার্ট বিখ্যাত এক মামলা লড়েন। ১৯৯৫ সালে মার্কিন ফুটবল কিংবদন্তি ওজে সিম্পসনের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রী ও তাঁর বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সিম্পসনের হয়ে রবার্টই মামলাটি লড়েন এবং সিম্পসনকে ছাড়িয়ে আনেন।

কিম কার্ডাশিয়ান। এএফপি ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ